মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের জন্য বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেন।
এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হন। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমাবেশ করে।
সমাবেশে বুধবার (১১ এপ্রিল) থেকে অনির্দিষ্টকাল সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবরোধ, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (৯ এপ্রিল) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক চলাকালে সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ‘বাজেটের আগে কোটা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব নয়’- এমন ঘোষণা দেন। সরকারের দুই মন্ত্রীর এমন মন্তেব্যের পর আবারও উত্তেজিত হয়ে পড়েন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের রাবির সমন্বয়ক মাসুদ মোন্নাফ বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে লিখিতভাবে তার মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষণা দিতে হবে। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল সকাল ১০টা থেকে ৭টা পর্যন্ত অবরোধ, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন চলবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, ১০ এপ্রিল, ২০১৮
আরএ