বুধবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াবাজার মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
এ মূহূর্তে নয়াবাজার মোড় অবরোধ করে কোটা সংস্কারের দাবিতে ও বিভিন্ন যায়গায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ‘চাইলাম অধিক্লার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোটার স্থান নাই, শেখ হাসিনার বাংলায় কোটার স্থান নাই’, বিভিন্ন স্লোগানে সোচ্চার রয়েছেন তারা।
নয়াবাজার মোড়ে অবরোধের ফলে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক, সদরঘাট, ইসলামপুর, বাংলাবাজার, ধোলাইখাল, যাত্রাবাড়ী রোডে চলাচলকারী সব যানবাহন আটকা পড়ে আছে। তবে আন্দোলনকারী ও পুলিশের সহায়তায় কোর্ট-কাচারির জজদের গাড়ি ও পুলিশের আসামিবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারছে।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের একজন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বাদ দিয়ে এখানে এসেছি। এখনো অনেক শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে আসছেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে তবুও অনেকে এসে আমাদের মাইকে আমাদের সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছেন। আমরা উদ্দীপ্ত, কোটা সংস্কারের আগে রাজপথ ছাড়বো না’।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তাদের বুঝিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া সার্বিক দিক অবজার্ভ করা হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগ ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে। তবে একাডেমিক সব কার্যক্রম আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
কেডি/জিপি