বুধবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ক্লাস বর্জন ও হাসপাতালের ডিউটি বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করে তারা।
নার্সিং কলেজ ক্যাম্পাস ও মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দিকে যেতে চাইলে হাসপাতালের গেটে পুলিশের বাধার মুখে পরে।
নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের কোর্স চলাকালীন প্রতিমাসে প্রথম বর্ষের জন্য এক হাজার ৭শ, দ্বিতীয় বর্ষের জন্য এক হাজার ৮শ এবং তৃতীয় বর্ষের জন্য এক হাজার ৯শ টাকা সম্মানী ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারী ৩ ব্যাচের ৭৫ শিক্ষার্থীদের প্রায় ১১ মাস ধরে সম্মানী ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। গত ৬ মাস আগেও সম্মানী ভাতা দেওয়া কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ দেই-দিচ্ছি করে ঘুরাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ২ মাসের সম্মানী ভাতার জন্য তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে ৫ মাস আগে। সম্মানী টাকা চাইলে অধ্যক্ষ একবার বলেন, পিন কোড ভুল হয়ছে। আবার বলেন, ভুলে ৫ লাক টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। আবার কখনও বলেন, নেটের সমস্যা বলে সম্মানী দিচ্ছে না।
সবশেষ গত শনিবার (৭ এপ্রিল) টাকা দেবার কথা দিয়েও সম্মানী না দেওয়াতে তারা আন্দোলনে নেমেছেন বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ বেলাতুন নেছা ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারী ৩ ব্যাচের ৭৫ শিক্ষার্থীদের প্রায় ১১ মাসের সম্মানীর ভাতা বাকি আছে বিষয়টি স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, তাদের দুই মাসের টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে। আগামী ২ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা হবে।
বাকি ৯ মাসের টাকা যখন আসবে তখন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
জিপি