মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে একটি মহল দুরভিসন্ধিমূলকভাবে বিতর্ক সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত। তারা বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে সমাজে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে তরুণ সমাজকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং নিজেদের মর্যাদাকে সুরক্ষা করতে হবে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের পটভূমি তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ওই সরকার গঠিত হয়েছিল। বিশ্ব ইতিহাসে এ ধরণের সরকার বিরল। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় এবং একই বছর ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় এ সরকার শপথ গ্রহণ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী এ সরকার গঠিত হয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ছিল না উল্লেখ করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত এই সরকারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। ইতিহাসের এ সত্য ইতোমধ্যেই উন্মোচিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এসকেবি/জিপি