বৃহস্পতিবার (৩ মে) বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে যৌথ উদ্যোগে নতুন কলা ভবনের ৩২২ নম্বর রুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম মুক্তিযোদ্ধের সময় নিজের জীবনে প্রত্যক্ষ করা কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ্য করে বলেন, রাতে ঘুমানোর আগে চিন্তা করতাম ঘুম থেকে সকালে জাগবো কিনা।
তিনি বলেন, গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপের যে কাজ চলছে তা খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। সঠিকভাবে নিরূপণ করা যাবে কোন এলাকায় কত শত মানুষ পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার ও হত্যার শিকার হয়েছে। আর এই সেমিনার তা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এসময় তিনি সেমিনারের আয়োজক পক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান আলোচক হিসেবে সেমিনারে এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বিপক্ষের শক্তি রয়েছে। অথচ এমন হবার কথা ছিলো, যেখানে সবাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে থাকবে। পৃথিবীতে এমন নজির খুবই কম।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার আলবদর আল শামস বাহিনীর নারকীয় নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এমন পরিবার খুবই কম ছিলো যে পরিবারের কেউ না কেউ নির্যাতিত হয়নি। বাঙালি জাতি প্রথম সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তা সত্ত্বেও ধর্মের নামে বর্তমানে যে নৈরাজ্য চলছে যা অকল্পনীয়।
সেমিনারের আহ্বায়ক ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলীর সঞ্চালনায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক খালিদ কুদ্দুসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- সেমিনারের আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী, অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক আরিফা সুলতানা, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি, একেএম জসীম উদ্দীন, মীর ফেরদৌস হোসেন, মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
জিপি