রোববার (৬ মে) শুরু হওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৭ মে) দুপুর দেড়টায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে অনুষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করতে চাপ দেন ছাত্রলীগ নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আব্দুল লতিফ সব নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসাকরী বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে। শিগগিরই নতুন তারিখ ঘোষণা করে সবগুলো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করা হবে।
এদিকে, চাকরির দাবিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। তাদের ভাষ্যমতে, দাবি না মেনে নেওয়া হলে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড হতে দেওয়া হবে না।
এসময় চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে পদ খালি থাকলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বর্তমান প্রশাসন নিয়োগ দিচ্ছে না। আগামী সিন্ডিকেট সভায় কয়েকটি বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমাদের বিষয়টিও চূড়ান্ত করতে হবে। নয়তো আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
রোববার (৬ মে) একই দাবিতে দুই দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দেন চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী বাস দুই দফায় প্রধান ফটকের সামনে প্রায় ঘণ্টা খানেক আটকা পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৮
এসআই