পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিলটি বের করা হয়। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।
পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, নুরুল হক নূর মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তারা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ দিতে হবে প্রজ্ঞাপন’, ‘শেখ হাসিনার ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হবে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নেই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই’, ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে দিয়ে দাও’- স্লোগানে পুরো ক্যাম্পাস মুখর করে তোলেন।
এদিকে বিক্ষোভ মিছিলের প্রচারণা চালানোর সময় শনিবার (১২ মে) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও শাস্তি জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন আন্দোলকারীরা।
বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের মল চত্বর, বিজনেস অনুষদ, নীলক্ষেত ও টিএসসি হয়ে কার্জন হলের দিকে রওনা দিয়েছে।
শনিবার (১২ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মলনে রোববার (১৩ মে) দেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
এর আগে গত বুধবার (০৯ মে) দুপুরে একই দাবিতে টিএসসিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বৃহস্পতিবারের (১০ মে) মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না হলে আগামী রোববার (১৩ মে) থেকে প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন হাসান আল মামুন।
তারও আগে মঙ্গলবার (০৮ মে) বেলা ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘ছাত্রসমাজের সঙ্গে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমরা বলে দিতে চাই ছাত্রসমাজ কোনও চক্রান্ত মেনে নেবে না। আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে ছাত্রসমাজকে শান্ত করুন। তারা এখন ক্ষুব্ধ। তা না হলে তারা আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও অহিংস। সামনে যে আন্দোলন চলবে সেটিও শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর অহিংস আন্দোলনের চেতনায় বিশ্বাসী’।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, মহিলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ, ক্ষেত্র বিশেষে জেলা কোটা ১০ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস