বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারীরা বেতন-ভাতা বিহীন দায়িত্ব পালন করায় পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন।
পঞ্চগড়ে বিলুপ্ত ৭৮ নম্বর গারাতি ছিটমহলের শেখ ফজিলাতুন্নেছা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পঞ্চগড় দেবীগঞ্জ উপজেলার দিনবাজার ৩৬ নম্বর কাজলদীঘি ছিটমহলের শেখ রাসেল স্মৃতি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এদিকে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্য রাতে ছিটমহলগুলো বাংলাদেশের আওতাভুক্ত হওয়ায় কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করে। কর্মরত শিক্ষক কর্মচারী ও সাবেক ছিটমলবাসীর দাবি সরকার দ্রুতই তাদের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনবে।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শিমা ও শেখ রাসেল স্মৃতি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শরিফা আকতার বাংলানিউজকে জানায়, ‘এখানে কোনো বিদ্যালয় ছিলো না। আমরা পড়াশোনা করতে পারতাম না। এখন আমাদের এখানে বিদ্যালয় হয়েছে। আমরা নিয়মিত বিদ্যালয় যাই। পড়া-লেখা করতে পারছি। ’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনূর রশিদ বাংলানিজেক বলেন, ২০০৮ সালে ছিটমহলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে আমরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। এখনও কোনো সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পাইনি। বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি।
শেখ রাসেল স্মৃতি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার রায় বলেন, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নে ও বিলুপ্ত ছিটমহলের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত জাতীয়করণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
জিপি