এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ও নগদ দেড় লাখ টাকা।
আটককৃতরা হলেন, বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাপ্পি ও তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম সোহেল (৩৫), ফাতেমা বেগম (২৯), নাজমিন নাহার মণি (২৭), এলিনা বেগম রুপা (২৬), আনোয়ার হোসেন ফকির (৩৯), আহসান হাবিব হাওলাদার (৩৫), জহির উদ্দিন জুয়েল (৩৫), জায়েদা খাতুন (৩০) ও বাদল ব্যাপারী (৩৮)।
শনিবার (২৬ মে) সকালে বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন।
এসআই মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২৫ মে) দিবাগত রাতে বরিশালের গির্জা মহল্লায় আবাসিক হোটেল ইম্পিরিয়ালে অভিযান চালানো হয়। হোটেলের ৪০৬ নম্বর কক্ষ থেকে শহিদুল ইসলাম সোহেলকে ও পাশের আরেকটি হোটেল থেকে পরীক্ষার্থী ও তাদের স্বজনসহ আরও ছয়জনকে আটক করা হয়।
পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার ভোরে নগরের সৈয়দ সরকারি হাতেম আলী কলেজ সংলগ্ন নিউ সার্কুলার রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাপ্পিসহ আরও দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
এদিকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, ১০ জনকে আটকের পর প্রতারক চক্রের কাছ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, তিনটি ইলেট্রিক ডিভাইস ও আটটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এরা মূলত বরিশালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর বলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলো। রেজাউল ইসলাম বাপ্পিসহ দালালরা মিলে ১০ জনের এই টিমটি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম রউফ খান বলেন, আটককৃতদের মধ্যে চারজন বিভিন্ন পরীক্ষা প্রক্সি দেওয়ার কাজ করতো। আর বাকীরা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্লুটুথ’র মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর বলে দিতেন।
আটক ১০ জনের বিরুদ্ধে সকালে কোতয়ালি মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন (পিপিএম) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা মে ২৬, ২০১৮/আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা
এমএস/এএটি