রোববার (২২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ‘সচেতন শিক্ষক সমাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে মানববন্ধনটি আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। গত ১৯ তারিখে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আকমল হোসেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখেছেন। আয়োজকরা এর প্রতিবাদ না করে অনেকে হাততালি দিয়েছেন। তখন আমরা বুঝতে পারি এরা কারা? অপ্রাসঙ্গিক ইস্যু এনে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হচ্ছে। তারা তারেক জিয়ার ভাষায় বক্তব্য রাখছেন।
তিনি আরও বলেন, কোটার সংস্কারের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা বা কটাক্ষ করা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এসব কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র যদি অন্যায়ভাবে কারাগারে থাকে তাকেও ছাড়িয়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, আর দু’বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদযাপন করবে। আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা মর্যাদার জায়গায় রাখতে চাই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থিতিশীল রাখতে আমরা সবাইকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানাই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিদের উচিত হবে না বিরোধীদের কোনো ধরনের সুযোগ দেওয়া।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করা শিক্ষক সমাজ কোনভাবেই মেনে নেবে না। কিন্তু ন্যায্য দাবির সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করব।
রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জিনাত হুদা বলেন, কোটা আন্দোলন গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আন্দোলনের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন অরাজকতা তৈরি হচ্ছে, তখন এর বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে।
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমসের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক তাজিন আজিজ চৌধুরী, সিন্ডিকেট সদস্য সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
এসকেবি/এনএইচটি