সরেজমিন দেখা যায়, সোমবার (০৬ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে খুবির হাদী চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গেলে প্রশাসন ও পুলিশ ফটক বন্ধ করে দেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাধা দিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করেছে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে গেট খুলে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যাচ্ছে। এতে খুলনা-ঢাকা, খুলনা-সাতক্ষীরা, খুলনা-যশোর মহাসড়কে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা।
বিক্ষোভের পর সমাবেশে খুবির শিক্ষার্থীরা গল্লামারী থেকে জিরো পয়েন্ট মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা, শিক্ষার্থীদের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ, সাংবাদিকদের পূর্ণ স্বাধীনতা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্কুল ও কলেজের সামনে নির্দিষ্ট গতিসীমায় যান চলাচল, খুলনা মহানগরে সুনির্দিষ্ট অটোলেন তৈরি, খুলনা মহানগরের সুনির্দিষ্ট লাইসেন্স বা ব্লু-বুক ছাড়া অটোরিকশা চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও এর বিচার দাবি করছেন। একইসঙ্গে নৌমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬ , ২০১৮
এমআরএম/জেডএস