ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘অবজেক্ট পিকিং রোবট’ উদ্ভাবন করলেন ইবি শিক্ষার্থী

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৮
‘অবজেক্ট পিকিং রোবট’ উদ্ভাবন করলেন ইবি শিক্ষার্থী অবজেক্ট পিকিং রোবট ও উদ্ভাবক ইবি শিক্ষার্থী সজীব সাহা

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী ‘অবজেক্ট পিকিং রোবট’  উদ্ভাবন করেছেন। রোবটটি অ্যান্ড্রয়েড একটি অ্যাপসের মাধ্যেমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। দুর্গম জায়গা থেকে কোনো বস্তু উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা যাবে এ রোবটটি।

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) রোবটটির উদ্ভাবক ইবি শিক্ষার্থী সজীব সাহা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।  

তিনি জানান, ‘যেসব স্থানে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে রোবটটির মাধ্যমে বস্তু উদ্ধার বা কোনো বস্তু পাঠানো যাবে।

একজন অপারেটর মোবাইলের অ্যাপসের মাধ্যমে এমন অনেকগুলো রোবট নিয়স্ত্রণ করা সম্ভব। রোবটটি ব্যবহারের ফলে দুর্গম জায়গা থেকে কোনো বস্তু উদ্ধার, কলকারখানায় কাজে অপেক্ষাকৃত কম জনশক্তি লাগবে এবং ঝুঁকিও কম হবে।

রোবটটি তৈরিতে আরডুইনো ইউএনও, টিডিসি মোটর চারটি, হুইল চেসিস চারটি, এইচ ব্রিজ (মোটর স্পিড কন্ট্রোলার এল-১২৯৮ এন) টিসার্ভো মোটর চারটি, ব্লুটুথ মডিউল (এইচ সি-৫) ব্যবহার করা হয়েছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে ৫০ মিটার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যাবে রোবটটি।

রোবটটের মাধ্যমে কোনো বস্তুকে ১৮০ ডিগ্রি কোণে ডানে বামে ঘোরানোর জন্য রয়েছে একটি মেকানিক্যাল হাত। এছাড়াও রোবটটিতে প্রয়োজন অনুসারে ওয়াইফাই মডিউল ব্যবহার করা যাবে। যার মাধ্যমে অনেক দূর থেকেও রোবটটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

সজীব সাহা আরও জানান, ‘রোবটটির সঙ্গে ক্যামেরা ও কালার লেন্স ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মাধ্যমে রোবটটি নির্দিষ্ট বর্ণের বস্তুকে নিজ থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিনতে পারবে এবং অপারেটর ক্যামেরা ছাড়াই ছবি দেখে অনেক দূর থেকেই রোবটটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এছাড়াও এর সঙ্গে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রোবটটি দ্বারা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হবে। ’

ইতোমধ্যে তিনি বেশ কিছু প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেছে। ভিন্নরূপে ভয়েস কন্ট্রোলড হোম অ্যাপ্লিকেশন, শর্ট ডিসট্যান্স রাডার ইউজিং আল্ট্রাসনিক, ডিসটেন্স মেজারমেন্ট ইউজিং আল্ট্রাসনিক, অটোমেটিক ওয়াটার লেভেল কন্ট্রোলার, হাই কোয়ালিটি অ্যামপ্লিফায়ার, এল পি গ্যাস সিকিউরিটি সিস্টেম উদ্ভাবন করেছে। বিভাগীয় ও সরকারি সহায়তা পেলে সজীব তার উদ্ভাবনের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মনজারুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা আছে, তারা কাজ করতে চায়। কিন্তু কাজ করার সম্পূর্ণ পরিবেশ আমরা তৈরি করে দিতে পারিনি। বেশিরভাগ সময়ে শিক্ষার্থীরা নিজ খরচেই নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবনের মাধ্যমে তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘এই বিভাগে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় আমরা তাদের সহোযোগিতা করতে পারছি না। গভর্নমেন্টের আইটি বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে মানসম্পন্ন ও যুগোপযোগী নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করা সম্ভব হতো। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।