পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন করে অনুমতি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুস সোবহানের অনুমতি না মেলায় বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে বিভাগের সভাপতির কার্যালয়ের বিছানায় শুয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
তরিকুলের সহপাঠীরা জানান, সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে গিয়ে তরিকুল তার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করান।
বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অনুমতি না মেলায় বিভাগে এসেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে তরিকুলকে। তবে তরিকুলের জন্য বিভাগীয় সভাপতির কার্যালয়ে বিছানার ব্যবস্থা করা হয়।
তরিকুল বলেন, আমি এখনও পুরোপুরি সুস্থ নই। আমাকে স্ক্র্যাচে ভর দিয়ে হাঁটতে হয়। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে পারি না। এ অবস্থায় বেঞ্চে বসে পরীক্ষা দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাই মেডিকেলের সিক বেডে শুয়ে-বসে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলাম। আজকে পরীক্ষা দিতে আমার খুব কষ্ট হয়েছে। এভাবে পরীক্ষা দেওয়া আমার জন্য খুবই কষ্টকর।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মু. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তরিকুলের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। সে মেডিকেলে পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল। এজন্য আমিও সুপারিশ করেছিলাম। অনুমতি না মেলায় আমরা বিভাগেই তার জন্য পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ছোঁয়াচে রোগের ক্ষেত্রে মেডিকেলে বসে পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়। তরিকুল ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত না হওয়ায় অনুমতি পায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই পুলিশের উপস্থিতিতে কোটা আন্দোলনকারীদের পতাকা মিছিলে হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতুড়িপেটায় তরিকুলের পা ভেঙে যায়। এখনও তিনি পুরোপুরি সেরে ওঠেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এসআই