রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলোকে মুহূর্তের জন্য ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত গ্র্যাজুয়েটরা। অনেকে আবার ক্যাম্পাসে এসেই নিজ বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে করে ক্যাম্পাস ঘুরছেন, আড্ডা দিচ্ছেন।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, গ্র্যাজুয়েটরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বসে হৈ-হুল্লোড় আর আড্ডায় মেতে আছেন। জোহা চত্বর, সাবাস বাংলাদেশ মাঠ, পুরাতন ফোকলোর চত্বর, প্যারিস রোড, বদ্ধভূমি, শহীদ মিনারসহ পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে কেউ আড্ডা কেউবা বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে মধ্য রাত পর্যন্ত গান-বাজনা করছেন। যেন আনন্দ-উল্লাসের কমতি নেই। ক্যাম্পাসে এসেই যেন সেই সোনালি দিনগুলোকে ফিরে পেয়েছেন গ্র্যাজুয়েটরা।
গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ক্যাম্পাসে এসে এত আনন্দ হচ্ছে যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দূরে থাকলেও ক্যাম্পাসকে আগের মতোই ভালবাসেন তারা। ক্যাম্পাসে কাটানো সময়, আড্ডা-গল্প, ক্যাম্পাস চষে বেড়ানো এসব আর ফিরে আসবে না। তারপরেও ক্ষণিকের জন্য অতীতকে বর্তমানে ফিরে পেতে আগ্রহ-উদ্যোমের কমতি নেই গ্র্যাজুয়েটদের। তাদের চোখে-মুখে যেন পুরনো দিনগুলোকে ফিরে পাওয়ার ভাবনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে কয়েকজন গ্র্যাজুয়েটকে দেখা গেল গাউন পড়ে ছবি তুলতে। তাদের একজন আসাদুজ্জামান নিউটন বলেন, ‘আমি ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। শিক্ষার্থী হিসেবে অনুভূতি আর এখনকার অনুভূতি একদমই আলাদা। দীর্ঘদিন পর বিভাগের শিক্ষক, সহপাঠী, বিভাগের জুনিয়দের দেখে খুবই আনন্দ হচ্ছে। একবারও মনে হচ্ছে না আমরা এখান থেকে চলে গিয়েছি’।
গণযোগাযোযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী এনায়েত করিম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে কাটানো দীর্ঘ পাঁচ বছর কিভাবে কেটে গেছে বুঝতেই পারিনি। ক্যাম্পাসের স্মৃতিগুলো খুব মনে পড়ে। প্যারিস রোডকে খুব মিস করি। যখন বিভাগ থেকে গাউন নিচ্ছিলাম তখন নিজেকে শিক্ষার্থী বলেই মনে হয়েছে। ক্যাম্পাস আগের চেয়ে অনেক সুন্দর এখন'।
বিভাগের সাবেকদের পেয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীরাও অনেক আনন্দিত। গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জমির উদ্দিন বলেন, ‘বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা সবসময়ই আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। সমাবর্তন উপলক্ষে আমরা সাবেকদের কাছে পেয়েছি। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এসএস/এএটি