রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শহরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদর রোডে ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতি বরিশাল কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এসময় বেসরকারি মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা থেকে অবসর সুবিধা বোর্ড কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদা হিসেবে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের আদেশ বাতিলের দাবি জানান শিক্ষকরা।
ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতি জেলা কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনটির বিভাগীয় সভাপতি শওকত আলী মিঞা, জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, কলেজ শিক্ষক সমিতি বরিশাল বিভাগীয় আহ্বায়ক আনিসুর রহমান খোকন, জেলার আহ্বায়ক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, যুগ্ম সম্পাদক একেএম জহিরুল আমিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূর হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেসরকারি শিক্ষকরা মনে করেছিল সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার নিশ্চিত করবে। কিন্তু শিক্ষকদের বেতন থেকে আগের ৬ শতাংশের স্থলে আরও ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ বেতন কর্তন করছে।
তারা বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির বরাত দিয়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এমপিওতে বেসরকারি ম্যাধ্যমিক পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষকদের বেতন ভাতা থেকে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদা হিসেবে অতিরিক্ত আরও ৪ শতাংশ কর্তন করছে।
অথচ বেসরকারি মাধ্যমিক ও মাদরাসার সব শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠনের আপত্তির কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরাধীন পাঁচ লাখ শিক্ষক এমপিও ভুক্ত থাকা সত্ত্বেও তাদের বেতন-ভাতা থেকে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের চাঁদা হিসেবে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হয়নি।
তাই কারিগরি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা থেকে ১০ শতাংশ কর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষক নেতারা।
মানববন্ধন শেষে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। যা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বরাবর দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের হাতে তুলে দেন নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এমএস/আরবি/