বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিস্টিকস-২০১৮’ চূডান্তকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালায় এ তথ্য জানিয়েছে। ব্যানবেইসের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোট ৪১ হাজার ৯০৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর গতবছরের অক্টোবরের প্রথম ১০ দিন অনলাইন জরিপ চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যানবেইসের পরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।
’বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিস্টিকস ২০১৮’ বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিশেষজ্ঞ শেখ মো. আলমগীর।
তিনি জানান, পোস্ট-প্রাইমারি স্তরে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কারিগরি ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, পেশাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (আইন কলেজ, লেদার টেকনোলজি ইত্যাদি), মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এই জরিপের আওতায় ছিল।
জরিপের সার-সংক্ষেপে দেখানো হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানে এক কোটি ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৩৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক সংখ্যা পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩২ জন।
প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রদের ঝরে পড়ার হার বাড়ছে বলে জরিপের সার-সংক্ষেপে উঠে এসেছে। ২০১২ সালে এ হার ছিল ৩৪ দশমিক ০৯ শতাংশ, ২০১৮ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশে। এর বিপরীতে ছাত্রীদের ঝরে পড়ার হার কমেছে। উল্লিখিত সময়ে মেয়েদের হার ছিল ৫২ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে হয়েছে ৪০ দশমিক ১৯ শতাংশ।
ব্যানবেইস পরিচালক ফসিউল্লাহ বলেন, পোস্ট-প্রাইমারি স্তরের সব প্রতিষ্ঠান থেকে মানসম্পন্ন ও সময়োপযোগী তথ্য সংগ্রহ করে শক্তিশালী শিক্ষাতথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা এবং বিদ্যমান তথ্য ভাণ্ডার হালনাগাদ করা জরিপের উদ্দেশ্য। এছাড়া এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষার অগ্রগতি মনিটরিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাতথ্য যোগান দেওয়াও এ জরিফের উদ্দেশ্য।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং করিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএ/