ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও অন্য অতিথিরা

ঢাকা: পর্যায়ক্রমে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেছেন, আমরা কারো উপর নিশ্চয়ই চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা চাই একটি সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই গণতান্ত্রিক চর্চা হোক।

মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন নিয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল ইসলাম নুর। আর জিএস পদে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী নির্বাচিত হন। ভিপি পদে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পরাজিত হয়েছেন নুরের কাছে।

নানা অভিযোগের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন শেষ হলে এখন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি উঠছে।  

ডাকসু নির্বাচনের পর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কী করবেন- সে প্রশ্নে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডাকসু নির্বাচন প্রায় ২৮ বছর পর হলো। আমরা আশা করছি আমাদের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং যে কলেজগুলো আছে সেখানেও পর্যায়ক্রমে নির্বাচনে ছাত্র সংসদগুলো গঠিত হবে। কারণ, অনেক দিন হয়নি। কিন্তু এখন যখন আমরা শুরু করেছি কাজেই এখন সব জায়গায় যেন হয়, এটি অনেকদিন ছিল না। আর সব সময় সে রকম থাকা উচিত না, হওয়া উচিৎ। আর আমরা আশা করি যে সেখানেও হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন স্কুলে করছি প্রতি বছর। সেখানে আমাদের কলেজগুলো এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হওয়া তো অত্যন্ত জরুরি।

এবছরই নির্বাচন হবে কিনা- প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেখা যাক। কারণ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তাদেরও নিজেদের প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে। যেহেতু এটি একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আমরা কারো উপর চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা চাই একটি সুন্দর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই গণতান্ত্রিক চর্চাটি হোক।

কলেজে শুরুই হয়নি, স্কুলে ২০১৫ থেকে হচ্ছে, কলেজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কী- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু ডাকসু হয়েছে, আমি আশা করি বাকিগুলো নিশ্চয়ই হবে।

কলেজের ব্যাপারে উদ্যোগ কী- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সবক্ষেত্রে। কারণ স্কুলে যেখানে আমরা করছি, সারাদেশে হাজার হাজার স্কুলে আমাদের ভোটার সংখ্যা কোটির বেশি। সেখানে আমরা যদি এতো সুন্দর ও ভালোভাবে করতে পারি তাহলে আমাদের সব জায়গায় হওয়া উচিত।

‘এতো দিন হয়নি, নানান কারণেই হয়নি। এখন যেহেতু শুরু হয়েছে কাজেই আমি আশা করছি যে হবে এবং আমাদের দিক থেকেও সব রকমের সহযোগিতা থাকবে। ’

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।