ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মানসম্মত ও সুলভে কিডনি-ক্যান্সারের চিকিৎসা অপর্যাপ্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
মানসম্মত ও সুলভে কিডনি-ক্যান্সারের চিকিৎসা অপর্যাপ্ত

ঢাকা: দেশে অধিক সংখ্যক কিডনি সংক্রান্ত এবং ক্যান্সার রোগীদের তুলনায় মানসম্মত ও সূলভ মূল্যে এসব রোগের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত সংখ্যক হাসপাতাল নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ক্যান্সার ও কিডনি রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এই রোগগুলোর চিকিৎসাও অত্যধিক ব্যয়বহুল।

কিন্তু সীমাবদ্ধ সম্পদের দেশে বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়মূল্যে ক্যান্সার ও কিডনি রোগের মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা দুরূহ। রাজধানীতে এজন্য দু’টি পৃথক সরকারি হাসপাতাল থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের চাহিদা মেটাতে এগুলোর সুবিধা খুবই অপ্রতুল।

বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মানিরোধ সমিতি’র (নাটাব) বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে ক্যান্সার ও কিডনি রোগের চিকিৎসায় হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। সে অনুযায়ী দেশের আট বিভাগে ক্যান্সার হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে কিডনি ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।  

দেশে যক্ষ্মা রোগের যুগপোযোগী ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সরকারের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পরিচালনার ফলে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হার কমেছে। কিন্তু রোগ শনাক্তকরণের ক্ষেত্রটি এখনও যথেষ্ট উন্নত হয়নি। তাই এই রোগ থেকে রক্ষার জন্য জনগণকে আরও সচেতন করতে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।  

যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা কিংবা কমিউনিটি ক্লিনিক, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, গার্মেন্টস কর্মীদের চিকিৎসা কেন্দ্র, জেলখানায় যক্ষ্মার চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্তদের জন্য নয়টি বিশেষ চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে।  

তিনি বলেন, যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্দিষ্ট মাত্রার ওষুধ সেবনে মানুষের শরীরে থাকা যক্ষ্মার জীবাণু ধ্বংস হয়।  

অনুষ্ঠানে নাটাবের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক শামিউল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।