ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ববি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষকদের একাত্মতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
ববি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষকদের একাত্মতা ববি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষকদের একাত্মতা, ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকদের একটি অংশ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আরিফ হোসেনের উপস্থিতিতে ছয় সদস্যের একটি প্যানেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় প্রধান ফটকে যান। পরে সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে শিক্ষকরা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, শিক্ষকরা ব্যক্তিগত জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। এতদিন ধরে শিক্ষার্থীরা অহিংসভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, এজন্য তাদের ধন্যবাদ দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করে একাত্মতাও প্রকাশ করেছি।

তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে তারা অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অচলাবস্থার অবসান ঘটায়। শিক্ষার্থীরা সেশন জটে পরে যাচ্ছে, তাই অচিরেই এর সমাধান আসুক এটাই আমাদের দাবি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন বাংলানিউজকে জানান, একাত্মতা প্রকাশকালে ববি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আরিফ হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস ছাড়াও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহাকারী অধ্যাপক অসীম কুমার নন্দী, মো. সাদেকুর রহমান, ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. সোহেল রানা।

এর আগে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন শিক্ষক সমিতির বর্তমান পরিষদ। বর্তমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর মিয়া পরিষদের অন্য নেতাদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ৮ দফা দাবি পেশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহমত পোষণ করেন।

পরে ওই দিন রাতেই তিনি তার ফেসবুক পেজে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে যৌক্তিক দাবি করে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তবে সেখানে তিনি শিক্ষক সমিতির পদবি না লাগিয়ে নিজ বিভাগের পদবি ব্যবহার করেন।

শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আন্দোলন করে ববির শিক্ষার্থীরা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেয়। এর প্রতিবাদে জোরদার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।

২৬ মার্চ থেকে তাদের লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রধান, ডিসি অফিস ঘেরাও, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ, নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে লিখে ভিসি’র পদত্যাগ দাবি, ভিসি’র কুশপুতুল দাহ ও মশালমিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।