ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার সেমিনারে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাবির সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ অন্যরা/ছবি- শাকিল

ঢাকা: শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার। তবে আরও বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ এবং দেশের আর্থিক বিবেচনায় প্রয়োজনের তুলনায় কম বাজেট পাচ্ছে শিক্ষাখাত। এমনটিই বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস আয়োজিত ‘আগামী বাজেট ও শিক্ষাখাত: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। সেমিনারে তিনি বলেন, শিক্ষায় উন্নতির জন্য বাজেট প্রয়োজন।

উন্নত শিক্ষার জন্য আরও বেশি বাজেটের প্রয়োজন হয়। এখন জিডিপির দুই ভাগের মতো আমরা শিক্ষায় বাজেট পাচ্ছি। এটি আরও বেশি হওয়া দরকার। ১৯৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষাখাতে জিডিপির ৪ শতাংশ বাজেটের কথা বলেছিলেন।  

দীপু মনি বলেন, গত ১০ বছরে আমাদের শিক্ষার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করেছি। এখন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার সবচেয়ে কম। এজন্য অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকার অর্থ ব্যয় করেছে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, সামর্থ্য সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে বাজেটে বরাদ্দ আশা করতে হবে। শিক্ষার উন্নতিতে যতটুকু ব্যয় দরকার, সরকার তার সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছু করছে, করবে।  

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটসের আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ আরিফ। এসময় শিক্ষায় সরকারের প্রতি বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দ্রুত জিডিপির ৫ শতাংশে উন্নীত করা এবং ক্রমান্বয়ে ৭ শতাংশে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ চেয়েছেন তিনি।  

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষাখাত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়ার মতো একটি খাত। পৃথিবীতে যারা উন্নতি করেছে দেখা যাবে তারা শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই উন্নতি করেছেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশেও বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষা গণতন্ত্রের মূল ভিত।  

এসময় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির কনসালট্যান্ট ডা. সিএম দিলোয়ার রানা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪,২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।