রোববার (১২ মে) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে অনলাইনে ও এসএমএসের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন উপমন্ত্রী।
একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রমের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হবে জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নির্মম কষ্ট ও ভোগান্তি লাঘব হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ইউজিসির (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছি। তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করবো। কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায় তা আলাপ-আলোচনা করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি চালু করা হবে।
তবে এবছর থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে কিনা- সে বিষয়ে কোনো সুনর্দিষ্ট তথ্য দেননি উপমন্ত্রী।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, জোর করে কোনো আইন বা নিয়ম কারও ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া চালুকরণ সবার দাবি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে। এটি আমাদের আমাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। তাই কোনো বাধাই আমলে নেওয়া হবে না।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে মেডিক্যাল কলেজগুলোর মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সমন্বিত ভর্তির দাবি থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়ে ওঠেনি।
তবে চলতি বছরে আটটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, দেশের আট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই প্রশ্নে একই দিনে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ