ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিকৃবিতে চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য বিশেষ কোটা দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
সিকৃবিতে চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য বিশেষ কোটা দাবি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হচ্ছে, ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন চা জনগোষ্ঠী থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্বশীল নেতারা ও সিলেটের সুশীল সমাজ।

শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা চা শ্রমিক সন্তানদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান তারা।

এসময় তারা উপাচার্যের কাছে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেন।

এসময় উপাচার্যের সঙ্গে প্রতিনিধিত্বশীল নেতারা এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় মিলিত হন।

চা শ্রমিক শিক্ষার্থী কল্যাণ তহবিলের আহ্বায়ক সজল ছত্রীর নেতৃত্বে সিলেট চা জনগোষ্ঠী ছাত্র যুব কল্যাণ পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের মাধ্যমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সজল ছত্রী বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সিলেট বিভাগ শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ চা জনগোষ্ঠী। সিলেট বিভাগের চা বাগানগুলোতে শিক্ষার দুরবস্থা দেখলে এটি স্পষ্ট হয়।

শাবিপ্রবিতে চা শ্রমিক সন্তানদের বিশেষ কোটা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিলেটের পরিচয়ই হচ্ছে চা বাগান। কিন্ত এ চা চাষের শ্রমিকরা দেড়শ বছর ধরে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাদের সন্তানরাও উপযুক্ত শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। এ থেকে উত্তরণের মূল উপায় হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ সুবিধা।

ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আশরাফুল কবির বলেন, চা জনগোষ্ঠী উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই। এ জন্যই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোটা পদ্ধতি চালু হয়, তাহলে চা শ্রমিকের সন্তানেরা শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।

সিলেট চা জনগোষ্ঠী ছাত্র যুবকল্যাণ পরিষদের সভাপতি দিলীপ রঞ্জন কুর্মী বলেন, চা শ্রমিকদের দৈনিক মজরি ১০২ টাকা। এ অর্থ দিয়ে মৌলিক অধিকারই পূরণ করা সম্ভব নয়। যার কারণে শিক্ষায় চা শ্রমিকরা এতো পিছিয়ে।

সিকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন, কাউকে পিছনে ফেলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়। এজন্যই আমরা চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য বিশেষ কোটা চালু করার বিষয়ে বিভিন্ন সভায় আলোচনা করবো। সিকৃবিতে চারজন ভর্তি করতে না পারলেও দু’জনকে ভর্তির বিষয়ে উদ্যোগ নিবো।

স্মারকলিপি নেওয়ার সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন , কারিতাস সিলেট অঞ্চলের শিক্ষা বিভাগের প্রধান পিউস নানোয়ার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সদস্য নারায়ণ কুর্মী, সিকৃবি’র সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কৈরি, সিলেট চা জনগোষ্ঠী ছাত্র যুবকল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি বরুণ সিং ছত্রী, বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের উপদেষ্টা বলরাম নাইডু, সহ-সভাপতি দেবাশীষ যাদব (এমসি), সহ-সভাপতি রিপন কুর্মী (জাবি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনা রবিদাস (সাস্ট), যুগ্ম সম্পাদক রাজু কানু (সিকৃবি), সাংগঠনিক সম্পাদক জুর্তিময় কানু (এসআইইউ), যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় পাশী (এমসি), যুগ্ম সম্পাদক পিংকু বর্মা (এমসি), সিলেট চা জনগোষ্ঠী ছাত্র-যুবকল্যাণ পরিষদের মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদিকা ইশিতা দাস, দলদলী চা বাগান শাখা কমিটির সভাপতি আর ডি রতন ও মিঠুন নায়েক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
এনইউ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।