শুক্রবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরের ৩২টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা।
প্রবেশ পত্রের শর্ত অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করার কথা।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পরীক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা সরকারি বরিশাল কলেজের প্রধান ফটক ঠেলে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করলে পুলিশ তাদের বের করে দেয়। পরে প্রবেশের দাবিতে কেন্দ্রের সামনেই বিক্ষোভ করেছেন সেসব পরীক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তিও হয়।
পুলিশ জানায়, নির্দিষ্ট সময়ে না আসায় তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারা পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে দূরের পরীক্ষার্থীদের সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে আসতে দেরি হয়। সকাল ১০টা ৫মিনিটে এসে দেখা যায় কেন্দ্রের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর শত অনুরোধ করেও কোনো কাজ হয়নি। আমরা দুইশ’ পরীক্ষার্থী বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের কথা কেউই শোনেনি। বরং পুলিশ বিনা কারণে আমাদের নিগৃহীত করেছে।
তবে এ অভিযোগ শুধু সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদেরই নয়। নগরের আরও বেশ কিছু কেন্দ্রেই বিলম্বের কারণে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইসরাত জাহান নামে এক পরীক্ষার্থী জানান, বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে প্রায় সব কেন্দ্রেই এই সমস্যা হয়েছে। অন্য অনেক কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা ঢুকতে পারলেও আমাদের কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এখানকার ম্যাজিস্ট্রেট।
এই বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) উপ-কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষার্থীরা সঠিক সময় আসতে না পারায় তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এবারের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বরিশালে ২শ’ শূন্য পদের বিপরীতে ৩২টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬২ হাজার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
এমএস/এসএ