ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বশেমুরবিপ্রবি’র ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
বশেমুরবিপ্রবি’র ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিসি’র পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আকিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের ১৪ দফা দাবি মেনে নিয়ে অফিস আদেশ দেওয়া হযেছে।

ওই আদেশের ৪ নম্বর ক্রমিকে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ ছাড়া বহিষ্কার করা হবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে অপমান করা যাবে না।  

তিনি আরও বলেন, ভিসি আগেও শিক্ষার্থীদের এমন অনেক দাবি মেনে নিয়েছিলেন। কিন্ত কোনো দাবিই বাস্তবায়ন করেনি। তাই আমরা এমন ভিসি চাই না। আমরা তার পদত্যাগ চাই।
 
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আঞ্জুমানারা বলেন, রেজিস্টার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ ১৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ার অফিস আদেশের ১ নম্বর ক্রমিকে বলেছেন ৬ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কাজ শুরু করতে ৬ মাস লাগবে কেন? আজ কিংবা আগামীকাল কেন কাজ শুরু হবে না? তাই ভিসি’র পদত্যাগ এটাই ছাত্র সমাজের একমাত্র দাবি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন, বুধবার রাতে শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে লাইভ করে বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। রাতেই আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ১৪ দফা দাবি মেনে নিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকালে ওই সব দাবি মেনে নিয়ে অফিস আদেশ ইস্যু করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কেন আন্দোলন তা আমি বুঝি না।  

ভিসি বলেন, একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন উস্কে দিচ্ছে। ফাতেমা তুজ জিনিয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করিনি, তারপরও আমরা তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছি।  

ভিসি আরও জানান, আসলে ওরা ফেসবুক বা ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারে না। অন্য কেউ হয় তো আমার ফেসবুক হ্যাক করেছিল। ওরা (শিক্ষার্থী) হিন্দি ছবি দেখে একটু এটা ওটা করতে চায়।  

এরআগে, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সেগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানান।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘোষিত সব দাবি মেনে নিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা আন্দোলন শুরু করেন। ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া ডেইলি সান পত্রিকার প্রতিনিধি। সাংবাদিকদের আন্দোলনের মুখে গতকাল বুধবার জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তারা রাত সাড়ে ৯টায় হল থেকে বের হয়ে আন্দোলন শুরু করে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।