ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নির্মম ও পৈশাচিক: ঢাবি শিক্ষক সমিতি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৯
ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নির্মম ও পৈশাচিক: ঢাবি শিক্ষক সমিতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সমিতি সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ও যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে আমরা ক্ষুব্ধ, ব্যথিত ও মর্মাহত।

তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। এই হত্যাকাণ্ড নির্মম ও পৈশাচিক। আমরা আবরারের হত্যাকারীদের দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

‘জ্ঞানচর্চা ও বিতরণই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ। মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও পরমসহিষ্ণুতা ব্যাহত হলে বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। আবরারের এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বিশ্বিবিদ্যালয়ের কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থীর চরম অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ; যা বিশ্বিবিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও চিন্তা-চেতনার পরিপন্থি। ’

শিক্ষক নেতারা বলেন, দুঃখের বিষয় এই যে, গত কয়েক দশকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অসহিষ্ণুতার চর্চা চলছে। সমাজপরিসরে বিদ্যমান নীতিহীনতা, বিবেকশূন্যতা ও চিন্তাজগতের আড়ষ্টতা আমাদের এক অজানা গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যমান এ পরিস্থিতির প্রতিকার না হলে জাতি হিসেবে আমরা অন্তঃসারশূন্য ও দেউলিয়া হয়ে পড়বো।

‘আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশ। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে অপার সম্ভাবনা- যেমনটি ছিল আবরারেরও। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর চিন্তার জগতে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত না করা গেলে এবং শিক্ষাঙ্গনে সহিষ্ণু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে না পারলে আগামী প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ থাকবো। সব রাজনীতিবিদ, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং নাগরিক সমাজসহ সবার কাছে আমাদের উদাত্ত আহ্বান- আসুন, আমরা সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে শিক্ষাঙ্গনকে প্রকৃত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করি এবং সবাই মিলে শিক্ষাঙ্গনে সহিষ্ণু পরিবেশ সৃষ্টির কার্যকর উদ্যোগ নিই। ’

এতে আরও বলা হয়, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুক শিক্ষাবান্ধব, নিরাপদ ও মানবিক। প্রধানমন্ত্রী আবরারের হত্যাকারীদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।