বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বেড়ে উঠলেও পড়ালেখায় কখনও পিছিয়ে থাকেনি সে। চন্দ্রখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পিইসি, ফুলবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পাসের পর চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে হৃদয়।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মিয়াপাড়া নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৪ নম্বর কক্ষে অন্য পরীক্ষার্থীর মতোই বাংলা প্রথমপত্র বিষয়ের পরীক্ষা দেয় হৃদয়। তার রোল নম্বর ৫৩৪০৭৯।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা বজরের খামার গ্রামের কাঠমিস্ত্রি আলতাফ হোসেন ও গৃহিনী বিজু বেগমের ছেলে হৃদয়। পাঁচ সন্তানের মধ্যে হৃদয় তৃতীয়।
বিজু বেগম বলেন, জন্ম থেকেই হৃদয় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। ছয় বছর বয়সে যখন তাকে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করি তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিবন্ধী বলে স্কুল থেকে বের করে দেন। পরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে আবারও তাকে স্কুলে নেওয়া হয়। স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি বাড়িতে তাকে লেখাপড়ার অভ্যাস করাই। আস্তে আস্তে সে লিখতে ও পড়তে শেখে। আজ এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, স্বামীর সামান্য আয়েই পাঁচ ছেলে-মেয়ের পড়াশুনা ও সংসারের খরচ চলে। তাই ইচ্ছা থাকলেও হৃদয়কে শহরের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুলে পড়াতে পারিনি। প্রতিবন্ধী হলেও এখন পর্যন্ত সে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়নি।
মিয়াপাড়া নাজিমউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মো. জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, হৃদয় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে বাড়তি ৩০ মিনিট সময় দেওয়াসহ সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যাতে সে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এফইএস/আরবি/