শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব ‘গবেষণাই হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য বিষয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন পাঠক দীর্ঘদিন পত্রিকা পড়তে পড়তে বাছাই করে নেয় কোন পত্রিকায় তথ্যবহুল, নির্ভরযোগ্য খবর প্রকাশ করে সেই বিষয়টি।
‘গবেষণার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গবেষণা নিয়ে আমাদের চলতে হবে। গবেষক তৈরি করতে হবে। গবেষণার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। গবেষণার সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এই কাজটা করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় পাশাপাশি সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার মধ্যে গবেষণা যুক্ত। গবেষণা করতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন আছে। তাই এ কাজটা সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ই করতে পারে। ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিচার্স আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো সামিও শীশ বলেন, গবেষণার জন্য তিনটি বিষয় খুবই প্রয়োজন। এরমধ্যে গবেষণার মতো চিন্তা করে দক্ষতা, গবেষণার মতো পাঠ করার দক্ষতা, গবেষণার মতো লিখতে পারার দক্ষতা। আর সম্মিলিতভাবে এই দক্ষতা অর্জন ও বৃদ্ধির জন্য সবচাইতে উপযোগী স্থান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবা, জনউদ্যোগ এবং আইইইডি আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিচার্স আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো সামিও শীশ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
পিএস/এইচএডি/