বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লিঁয়াজো ফোরাম এই দাবিতে শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে।
শিক্ষকরা বলছেন, নীতিমালায় ১১.৫ ধারায় ‘এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে ১০ বছর সন্তোষজনক চাকরি পূর্ণ হলে পরবর্তী উচ্চতর বেতন গ্রেড প্রাপ্য হবেন এবং পরবর্তী ছয় বছর পর একইভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হবেন’ বলে উল্লেখ রয়েছে।
এই নিয়ম কার্যকর হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকরা উচ্চতর গ্রেড থেকে বঞ্চিত হবেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লিঁয়াজো ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনি।
এই ধারাটি সংশোধন করে এমপিওভুক্ত সব শিক্ষক-কর্মচারীকে উচ্চতর গ্রেড প্রদান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের অবশ্যই উচ্চতর গ্রেড প্রদানসহ মুজিববর্ষেই এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের দাবি জানানো হয়।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ওই ধারাটির কারণে শিক্ষক সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কারণ, সিনিয়র শিক্ষকদের একার টাইমস্কেলের মাধ্যমে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া হয়েছে। এতে আর তাদের উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ই-মেইলে আবেদন পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিঁয়াজো ফোরামের মুখপাত্র নজরুল বলেন, রোববার শিক্ষা সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর অধীনে গত বছরের ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করেন।
২০১৯-২০ অর্থবছর থেকেই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীগণ বেতন-ভাতার সরকারি অংশের সুবিধা প্রাপ্য হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
এমআইএইচ/জেডএস