এদিকে সমস্যা সমাধানে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন দাবিতে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ১৪তম দিনের মতো লাগাতার আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
ইতিহাস বিভাগের দাবিতে দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আন্দোলনস্থলে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে যৌক্তিক দাবির পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কারিমূল হক ও আবতাবুজ্জান।
কারিমুল হক বলেন, মঙ্গলবার ইউজিসি বিশ্বাবিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে একটি সভা করেছে এটা আমরা রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানতে পেরেছি। সভায় ইউজিসি ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়নি। এ কারণে আমরা বিভাগ অনুমোদন ঘোষণার আগপর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যদি কেউ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায় তাহলে সেটাকে আমরা কঠোর হাতে ব্যবস্থা নেব।
অপর ছাত্র আবতাবুজ্জান বলেন, চলতি আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তারপরও আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে, বৈঠকে ইউজিসি সদস্য দিল আফরোজ বেগমকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক নূরউদ্দিন আহম্মেদ।
এদিকে, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় ঢাকায় ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসির নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালটির সমস্যা সমাধানে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগমকে প্রধান করে ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক প্রফেসর ড. কামাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন না দিয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ প্রদান করে। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ওই দিন রাত থেকে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে এ বিভাগটিতে ৪১৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এসএইচ