রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে সোমবার (২৯ জুন) ‘ইমার্জিং সেন্সিং অ্যান্ড কম্পিউটিং টু অ্যাড্রেস কোভিড-১৯’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক অনলাইন বক্তব্যে অতিথিরা এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইইই স্টুডেন্ট ব্র্যাঞ্চ এবং আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যালাবরিয়ার অধ্যাপক ড. জিয়ানকার্লো ফর্টিনো, যুক্তরাষ্ট্রের বেল ল্যাবের আইওটি ডিরেক্টর ড. ফাহিম কাওছার এবং বেল ল্যাবের প্রিন্সিপ্যাল রিচার্চ সায়েন্টিস্ট ড. অখিল মথুর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও ড. মুহাম্মদ আমিনুর রহমান এতে সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক মহামারিসহ যেকোনো জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বরাবরই প্রযুক্তির ভূমিকা বেশি ছিল। ইতোমধ্যেই স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা তথা রোগ শনাক্তরণ, থেরাপিউটিক ও ভাইরাস বিস্তারের বিভিন্ন দিক খোঁজা হচ্ছে। ভবিষ্যতের যে কোনো মহামারি রোধেও তা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. জিয়ানকার্লো ফর্টিনো স্মার্ট সেন্সরের নতুন অনুষঙ্গ হ্যান্ডসেক ডিটেকশন সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, এটা এমন একটা সিস্টেম, যা মানুষের শরীরে লাগানো হলে এটিই তার করোনা উপসর্গ বলে দেবে। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব ও দূর থেকে মানব শরীর কন্ট্রোলের নানা দিক নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত ‘ইমার্জিং সেন্সিং অ্যান্ড কম্পিউটিং টু অ্যাড্রেস কোভিড-১৯’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ লেকচার সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব আগামী ৫ জুলাই একই প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড বিগ ডেটা অ্যানালাইসিস টু অ্যাডড্রেস কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জেস শীর্ষক বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। পুরো কার্যক্রমে সহায়তা করছে আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশে চ্যাপ্টার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
আরআইএস/