ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ‘যারা ফেল করেছেন ইনবক্স করেন আল্লাহ সাক্ষী ১০০০ পার্সেন্ট পাস করবেন। বিশ্বাস না থাকলে ইনবক্স করবেন না।
ভুক্তভোগী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফয়সাল মাহবুব (ফেইক অ্যাকাউন্ট) নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে সাত কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। একইসঙ্গে ডিগ্রির শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপেও কমেন্ট করে পরীক্ষায় পাস এবং কম নম্বর পাওয়াদের বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। সে অনুযায়ী অনেক শিক্ষার্থী বিকাশের মাধ্যমে এই চক্রকে অর্থ প্রদান করে। পরে তারা বুঝতে পারে প্রতারণার শিকার হয়েছে।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ধরনের তৎপরতার কথা জানতে পেরে গত ১ জুলাই শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। পরে র্যব-৩ এই চক্রের মূল হোতাসহ দুজনকে আটক করে। তারা হলেন- মাসুম রানা রনি ও মো. আব্দুর রহিম সাদেক (২২)। সাদেককে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে আটক করা হয়। এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আটক আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে এই চক্রটির বিষয়ে প্রাপ্ত কিছু তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা থানায় জিডি করি। কয়েকদিনের প্রচেষ্টায় ক্রিমিনালদের হাতে নাতে ধরা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাল্টা আরেকটা মামলা দায়ের করি। আমাদের আহ্বান থাকবে কেউ যেন প্রতারণার ফাঁদে পা না দেয় এবং চক্রগুলোর সঙ্গে আর্থিকভাবে কোনো লেনদেন না করে। যারা এই চক্রান্ত করছে তারা আইনগতভাবে অপরাধী হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সক্রিয় আছে। অভিাভাবক এবং কোনো শিক্ষার্থী যেন প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেরাও যেন আইনগত অবস্থার মুখোমুখি না হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। দুইজন আটক আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
এসকেবি/এইচএডি