ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার ভাবনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার ভাবনা

ঢাকা: বিভাগীয় শহরগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণার মধ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও সারাদেশে জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার ভাবনার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এটি নিয়ে আলোচনা চলছে।

করোনা পরিস্থিতিতে চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল গড় করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আর আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এ ফল প্রকাশ করার কথা।

এরই মধ্যে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ গত ১৭ অক্টোবর জানিয়েছে, তারা চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাবে। তবে কোন পদ্ধতিতে হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

তার দু’দিন পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এবছর বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এতদিন মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হতো। সেখানে ১২০ নম্বরের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি ও এইচসির জিপিএর ভিত্তিতে ৮০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা তৈরি করা হতো।

তবে এবার মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর জন্য থাকছে ২০ নম্বর, বাকি ৮০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তার মধ্যে আবার ৩০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে।

বুধবার (২১ অক্টোবর) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে কিন্তু সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের গত কয়েক বছর ধরে প্রচেষ্টা ছিল সমন্বিত পরীক্ষা।

‘আমরা মনে করি এবছর আমাদের যে বাস্তবতা, তাতে এ সমন্বিত পরীক্ষাটি এখন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। আমরা যদি দেশব্যাপী সমন্বিত পরীক্ষা নিতে পারি, তাহলে কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই হয়তো সেটি করা সম্ভব। কারণ, প্রতি জেলায় জেলায় যদি পরীক্ষা হয় এবং সারাদেশে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আছেন তারাই কিন্তু নানানভাবে ইনভিজিলেটর, পরীক্ষা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থেকে মান নিশ্চিত করতে পারেন। আমাদের ধারণা এটি করা সম্ভব। ’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিন্তু গত বছরের শেষে এবং এবছরের শুরতে সমন্বিত পরীক্ষা নিয়ে কথা হয়েছিল, সেখানে কয়েকটি বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন। তবে এরই মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ সমন্বিতভাবে হয়, এবার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হয়েছে।

‘একইভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত পরীক্ষা হতে পারে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কী পদ্ধতিতে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো। এটি নিয়েও আমাদের আলাচনা চলছে। ’

** মাধ্যমিকে এবছর বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।