জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মিখা পিরেগুকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।
মিখা পিরেগু বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।
ওই আদেশ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ-২০১৮ এর ৩ (২) (ক) ধারা অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হয়। সিন্ডিকেট সভার পর থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত বছরের ১৮ নভেম্বর সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় মিখা পিরেগুকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিশেষ পরীক্ষার অনুমতির জন্য আবেদনপত্রে বিভাগের সভাপতির স্বাক্ষর ও সিলমোহর জালিয়াতির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মিখা পিরেগু বলেন, ‘২০১৭ সালে আমি একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য বিভাগীয় সভাপতির সিল ও স্বাক্ষরসহ আবেদন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে জমা দিয়েছিলাম। বিভাগ থেকে মিটিং করেই এটা অনুমোদন করেছিল। কিন্তু উপাচার্য অফিস থেকে কোনো কারণ ছাড়াই এটি অনুমোদন না করায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে আমাকে আবার আবেদন করতে বলা হয়। শীতকালীন ছুটির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমি প্রথমবার জমা দেওয়া মূল কপিটার ফটোকপি জমা দিয়েছিলাম। ’
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত রিভিউয়ের জন্য আমি আবেদন করেছি। রিভিউ প্রক্রিয়াটি চলছে। ’
মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি মো. কাশেদুল ওহাব তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ওই সময় বিভাগের সভাপতি ছিলাম না। তবে যতটুকু শুনেছি বিভাগ থেকে তার আবেদন পত্রটি ফরোয়ার্ড করা হলেও উপাচার্যের ফাইনাল অ্যাপ্রুভালের সময় এটি রিজেক্ট হয়ে যায়। ওনাকে আবার আবেদন দিতে বলা হলে তিনি যে আবেদনটি করেন সেটা বিভাগের সুপারশি ছাড়াই। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকে ওই আবেদন পত্রে উনি যে তারিখ দিয়েছেন ওই তারিখে বিভাগের তৎকালীন সভাপতি (নাঈমা আহমেদ) ছুটিতে ছিলেন। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘ছাত্র ইউনিয়ন কখনোই কোনো অনৈতিকতা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠা লজ্জার। আমরা অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভায় আলোচনা করবো। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
এফএম