ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয়: ইউজিসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২১
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয়: ইউজিসি

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এক সদস্য।

ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ এ কথা বলেন।

প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সুখকর নয়। কারণ শিক্ষকরা সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি।

ভবিষ্যতে সম্মানিত উপাচার্যদের বিরুদ্ধে যেন তদন্ত করতে না হয় সেদিকে দৃষ্টি রেখে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, সুশাসন, স্বছতা ও জবাবদিহিতা—এই শব্দগুলো এখন জাতীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ও এপিএএমএস (সফট্ওয়্যার) বিষয়ক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান। অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছতা থাকা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এপিএ বাস্তবায়ন জরুরি।

অনুষ্ঠানে গুরুত্বের সঙ্গে এপিএ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে এপিএ বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অবহেলা সহ্য করা হবে না বলে জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান।

প্রফেসর আলমগীর বলেন, কিছু কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক, প্রশাসনিক ও একাডেমিক অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে এগুলো পরিহার করে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপাচার্যের বা কর্তৃপক্ষের লিখিত নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর আবু তাহের বলেন, ভবিষ্যতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে মূল্যায়ন ও কর্মদক্ষতার ওপর ভিত্তি করে বাজেট বরাদ্দ হবে। আন্দেলন-সংগ্রাম করে বাজেট বাড়ানো যাবে না। সামগ্রিক মূল্যায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাজেট দেওয়া হবে। সবাইকে সতর্কতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান তিনি।

ইউজিসি এপিএর সদস্য-সচিব গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকাল পয়েন্টরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার এপিএ প্রবর্তন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।