ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৪৫ অভিযোগ তদন্তে আসছে ইউজিসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২১
বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৪৫ অভিযোগ তদন্তে আসছে ইউজিসি

বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৪৫ অভিযোগ তদন্তে আসছে ইউজিসিবেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর অনিয়ম-দুর্নীতির ৪৫টি অভিযোগের তদন্ত করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।  

আগামী ১৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরেজমিনে তদন্তকাজ পরিচালনা করবে ইউজিসির একটি তদন্ত কমিটি।

 

বুধবার (৩ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাত শিক্ষকের স্বাক্ষরিত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বরাবর পাঠানো ৪৫ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ তদন্তকাজ পরিচালনা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্যাডে স্বাক্ষরিত অভিযোগকারী সাত শিক্ষক হলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচ এম তারিকুল ইসলাম, ফাইনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল কবির, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ এবং অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন।  

২ মার্চ স্বাক্ষরিত ইউজিসির সিনিয়র সহকারী সচিব ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন কর্তৃক এক চিঠি অভিযোগকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আগামী ১৪ মার্চ সকাল ১১টায় অভিযোগকারীদের সব দালিলিক তথ্যপ্রমাণসহ সাক্ষীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।  

চিঠির অনুলিপি ইউজিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ উপাচার্যের পিএস বরাবর পাঠানো হয়েছে।  

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনীত ৪৫টি অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অমান্য করে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিতি, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া, ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ, শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ভিসি হয়েও অনুপস্থিত থাকা, নিরাপত্তাহীন ক্যাম্পাস, ইচ্ছেমত পদোন্নতি, আইন লঙ্ঘন করে একাডেমিক প্রশাসনিক পদ দখল ও ক্রয় প্রক্রিয়ায় নীতিমালা লঙ্ঘন, উপাচার্যের অননুমোদিত ও  অনিয়মতান্ত্রিক ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং, ঢাকাস্থ লিঁয়াজো অফিসে অতিরিক্ত খরচ, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, চরম শিক্ষক সংকট প্রভৃতি।  

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির ৪৫টি অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ প্রায় ১৫টি দপ্তরে পেশ করেছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৪ মার্চ তদন্তকাজ পরিচালনা করা হবে। উপাচার্যের মদদে যে নানান অনিয়ম দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছে এবং উপাচার্য নিজেও আইন অমান্য করে চলছেন যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ পড়াশুনার পরিবেশ স্থবির হয়ে পড়েছে। আমরা চাই দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের শাস্তিসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হোক।

সম্প্রতি  বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি ১০তলা ভবন ও ১টি স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজে উপাচার্যের অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে ইউজিসির আরেকটি সরেজমিন তদন্ত কমিটি। এজন্য উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই কমিটির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।