ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ছাত্র-শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, আটক এক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
ছাত্র-শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, আটক এক

রংপুর: ছিনতাইকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ক্যাম্পাস সংলগ্ন পার্কের মোড় এলাকায় বৃষ্টিতে ভিজে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

পরে ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, কিছুদিন আগেও মেসে ঢুকে দুই শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করে মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় প্রশাসন তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয় নাই। ফলে দুর্বৃত্তরা আরও সাহস পেয়ে এমন ঘটনা আবারও ঘটিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ঘটনা ঘটলেও তারা কিছুই করতে পারে নাই। একটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা যদি পুলিশ দিতে না পারে তাহলে এটি দুঃখজনক ঘটনা। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

মানববন্ধনে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী লাবনী আক্তার লিলি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হয়েও নিরাপত্তা না পেয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা এটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। পরাগ ও মনিরুজ্জামান স্যারের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, রাত ২টা কিংবা ভোর ৫টা হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ স্থানীয় প্রশাসন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নিরাপদে চলতে চাই সেটার নিশ্চয়তা স্থানীয় প্রশাসনকে দিতে হবে। দুর্বৃত্তদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

এদিকে আহত শিক্ষার্থী পরাগকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে সৈয়দপুর থেকে প্লেনে করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুপুর আড়াইটার ফ্লাইটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তার চিকিৎসার দেখভাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করার ঘোষণা দিয়েছে।  

অপরদিকে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ারুল আজিম তাজহাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে তিনি অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে আসামি করেছেন।  

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উত্তর আশরতপুর এলাকার রিফাত হোসেন আলফি নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ারুল আজিম বাংলানিউজকে বলেন, উন্নত ও সঠিক চিকিৎসার জন্য সেই শিক্ষার্থীকে প্লেনে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক ইজার আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিফাত নামে একজনকে আটক করেছি। এছাড়াও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান প্রধান বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সজাগ রয়েছি।

** বেরোবি’র শিক্ষক-ছাত্রকে কুপিয়ে জখম

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।