ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মশাল মিছিল থেকে কুশপুতুল দাহ

সিনিয়র ও শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
মশাল মিছিল থেকে কুশপুতুল দাহ মশাল মিছিল থেকে কুশপুতুল দাহ করেন শিক্ষার্থীরা, ছবি: মাহমুদ হোসেন

শাবিপ্রবি (সিলেট): উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) মশাল মিছিল করে তার কুশপুতুল দাহ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

 
  
রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চ থেকে মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলচত্বর হয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছ পর্যন্ত যায়। পরে আবার একই স্থানে এসে মিলিত হয়ে রাত ১০টায় উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।  

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাস ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন আন্দোলনকারীরা।  

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাসার রাজ বলেন, আমাদের আন্দোলনের দশম দিন চলছে, অনশনের আজ পঞ্চম দিন। এতে অনশনের ১০০ ঘণ্টা পার হলেও ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশানুরূপ সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য তাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে ভেতর থেকেও কেউ বের হতে পারবেন না, আবার বাইরে থেকেও কেউ ভেতরে ঢুকতে পারবেন না।  

এদিকে বর্তমানে অনশনে ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ১৩ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত গণঅনশনে যোগ দিয়েছেন তিন ছাত্র ও দুই ছাত্রী।  

গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ২৪ জন শিক্ষার্থী এ অনশনে অংশ নেন। পরে পারিবারিক কারণে একজন বাড়িতে চলে যান। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা।  

পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাদের লাঠিপেটা করার পাশাপাশি শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে সে নির্দেশ উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।  

এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের আলোচনা হলেও উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।