ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ঢাকা-১৭ ভোটে কেন্দ্রে থাকবে ১৯ থেকে ২১ জনের ফোর্স

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
ঢাকা-১৭ ভোটে কেন্দ্রে থাকবে ১৯ থেকে ২১ জনের ফোর্স

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ১৯ থেকে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

এক্ষেত্রে সাধারণ কেন্দ্রে বিভিন্ন বাহিনীর ১৯ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২১ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিপিএএ ইতোমধ্যে পরিপত্রও জারি করেছেন।

বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানকে পাঠানো এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনে নির্বাচন উপলক্ষে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ ভূমিকার ওপর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান বহুলাংশে নির্ভর করছে। সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ সততার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই সরকারের নিরপেক্ষতা জনগণের নিকট দৃশ্যমান হবে।

সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ পাঁচ জন, আনসারের দুইজন সদস্য থাকবে। এছাড়া অস্ত্র ছাড়া লাঠি হাতে আনসারের থাকবে ১২ জন সদস্য।

অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের দুজন অতিরিক্ত সদস্য থাকবে।

আবার পুলিশের ১০টি মোবাইল টিম পাঁচটি মোবাইল স্ট্রাইকিং টিম, র‌্যাবের ছয় টিম ও ছয় প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত থাকছে ভোটের এলাকায়।

নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনায় ১৫ জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ছয়জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

পুলিশের দায়িত্ব:

(ক) নির্বাচনি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর। ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা বিধান হবে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রধান কাজ।

(খ) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল সরঞ্জাম ও দলিল দস্তাবেজ আনা নেওয়াসহ সকল সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

(গ) নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

(ঘ) নির্বাচন কার্যালয়সমূহ, রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিধান করা।

(ঙ) স্থানীয় জননিরাপত্তা, ভোটকেন্দ্রে ভোটারগণের সুশৃঙ্খল লাইন করানোসহ স্থানীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা।

(চ) ভোটারগণের জন্য আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

বিজিবি/আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব:

(ক) বিজিবি/আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

(খ) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/ রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে বিজিবি/আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

(খ) নির্বাচনি এলাকায় বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।

(গ) রিটার্নিং অফিসার সহায়তা কামনা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে।

(ঘ) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তি-শৃঙ্খলার রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে।

(ঙ) নির্বাচনকালীন নিয়োজিত বিজিবি সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট রিপোর্ট করবেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপার এর সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের চাহিদা মোতাবেক বিজিবি সদস্য ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান সদস্যদের নিয়োজিত করবেন। নির্বাচনি দায়িত্ব পালন শেষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হতে ছাড়পত্র গ্রহণ করবে।

(চ) নির্বাচনি এলাকায়/নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ কোন ব্যক্তি/বস্তুর যাতায়াত/চলাফেরা ইত্যাদি আইন অনুযায়ী রোধ করবে।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব:

(ক) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে র‍্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনি এলাকায় সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।

(খ) রিটার্নিং অফিসার সহায়তা কামনা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে।

(গ) র‍্যাব আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবে এবং
রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনা কক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবেন।

আনসার ও ভিডিপি:

(ক) নির্বাচন কার্যক্রমে নিয়োজিত সদস্যগণ পুলিশ বাহিনী কর্তৃক নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।

(খ) রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।

প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা:

স্ব স্ব বাহিনী তাদের যানবাহন ব্যবহার/নির্ধারণ করবে। তবে নির্বাচনি এলাকার ভোটকেন্দ্রে মোবাইল টিমসমূহ রিটার্নিং অফিসার অথবা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বেসামরিক যানবাহন অধিযাচনপূর্বক ব্যবহার করতে পারবে।

এছাড়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ স্ব স্ব বাহিনীর সদর দপ্তর নির্ধারণ করবে; স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয়পূর্বক আবাসন ব্যবস্থা নির্ধারণ করতে হবে; স্ব স্ব বাহিনীর সদর দপ্তর তাদের রেশন নির্ধারণ করবে; স্ব স্ব বাহিনী তাদের যানবাহন ব্যবহার/নির্ধারণ করবে অথবা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বেসামরিক যানবাহন অধিযাচনপূর্বক ব্যবহার করতে পারবে;
এই সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়ভার সামরিক/বেসামরিক যানবাহন/নৌযান জ্বালানি রক্ষণাবেক্ষণ ও ভাড়া ইত্যাদি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক বহন করা হবে।

ব্যালট পেপারে এ উপ-নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন - আলোচিত ইউটিউবার মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থী সিকদার আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন, গণতন্ত্রী পার্টির মো. কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট'র মো. আকতার হোসেন ও তৃণমূল বিএনপি’র শেখ হাবিবুর রহমান।

চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গত ১৫ মে মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূন্য হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
ইইউডি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।