ঢাকা: পাঁচ অঞ্চলের ১৮টি সংসদীয় আসনের ২৬২টি দাবি-আপত্তির শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন, অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির সচিবসহ দাবি-আপত্তি উত্থাপনকারীরা অংশ নিয়েছেন।
চতুর্থ দিনের এ শুনানিতে পঞ্চগড়-১, পঞ্চগড়-২, রংপুর-১ ও কুড়িগ্রাম-৪ এবং রাজশাহী অঞ্চলের সিরাজগঞ্জ-২, সিরাজগঞ্জ-৫, সিরাজগঞ্জ-৬ ও পাবনা-১, ময়মনসিংহ অঞ্চলের টাঙ্গাইল-৬, জামালপুর-২, কিশোরগঞ্জ-১, সিলেট অঞ্চলের সিলেট-১, ফরিদপুর অঞ্চলের ফরিদপুর-১, ফরিদপুর-৪, মাদারীপুর-২, মাদারীপুর-৩, শরীয়তপুর-২ ও শরীয়তপুর-৩ আসনের দাবি-আপত্তিগুলোর শুনানি সম্পন্ন করা হবে।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয় এবং বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় মোট ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো-পঞ্চগড়-১ ও ২; রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১ ও ২; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪; শরীয়তপুর-২ ও ৩; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫; সিলেট-১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩; কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩ আসন।
ইসির প্রকাশিত ওই খসড়ার তালিকার ওপর গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি আহ্বানও করা হয়। ইসিতে জমা পড়া দাবি-আপত্তিগুলোই শুনানি করে সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করা হবে।
ইইউডি/এসআইএস