ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সরকারি প্রটোকলে প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
সরকারি প্রটোকলে প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ফাইল ফটো

ঢাকা: নির্বাচনকালীন সময় (আইন অনুযায়ী, নির্বাচনপূর্ব সময়) অর্থাৎ, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল নিয় প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে সরকারি সফরে বা অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বুধবার (১৭ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন ভবনে তার কার্যালয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সংজ্ঞায় বলা আছে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সিটি করপোরশনের মেয়র, স্পিকারসহ অন্যরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের সুবিধা নিয়ে প্রচারণায় যেতে পারবেন না।

সংসদ সদস্যরা যে গাড়ি, তেল পান, সে সুযোগও ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে প্রধানমন্ত্রী পারবেন।

কবিতা খানম বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য হিসেবে বিশেষ আইনে নিরাপত্তা সুবিধা পান। সেজন্য বিশেষ আইনের নিরাপত্তা সুবিধা নিয়ে তিনি প্রচারণায় প্রটোকলের সুবিধা পাবেন। তবে অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা তিনি পাবেন না।

বিশেষ আইনে যতটুকু পারমিট থাকবে, নিরাপত্তার জন্য যে সুযোগ আছে, ততটুকু তিনি নিতে পারবেন।

‘আমরা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালায় নির্বাচনকালীন সংসদ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা কোনো পরিবর্তন আনছি না। কেননা, তাদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তা বর্তমান আইনেই আছে। সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কী করতে পারবেন তা আচরণ বিধিমালায় বলা আছে। ’

তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান। সবাইকে আইনটা মানতে হবে। আমরা যদি আইনটা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারি, তবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং ব্যালেন্সের বিষয়টাও চলে আসবে। কেননা, আইন ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ কমিশনের রয়েছে। আচরণবিধির বাইরে কারো কর্মকাণ্ড প্রতিফলিত হলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আচরণ বিধিমালায় যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণের কথা বলা আছে, তাই এখানে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না। কেবল জীবন্ত প্রাণীর ব্যবহার, ডিজিটাল ডিসপ্লের ব্যবহার বন্ধসহ ছোটখাটো কিছু বিষয় আনার কথা ভাবা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসকের পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়ার দাবি মাঠ কর্মকর্তারা তুলেছেন। এটা নিয়ে আলোচনার সময় আসেনি। কমিশন বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার নিয়েও এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আইনটা সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। আইন হলে আমার সক্ষমতা আছে কিনা, তা নিয়ে ভাবতে হবে। আস্থা তৈরির বিষয়ও রয়েছে। তবে নির্বাচনে আমরা প্রযুক্তি গ্রহণ করবো। এতে অর্থ ও লোকবল সাশ্রয় হবে।

মাহবুব তালুকদারের প্রস্তাব অযৌক্তিক: কবিতা খানম

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।