ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পক্ষপাত নয়, উন্নয়নের লক্ষ্যে ভোট দেবেন তরুণরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
পক্ষপাত নয়, উন্নয়নের লক্ষ্যে ভোট দেবেন তরুণরা উন্নয়নের লক্ষ্যে ভোট দেবেন তরুণরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: তরুণ ভোটাররা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্যতম ফ্যাক্টর। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রত্যাশার শেষ নেই তাদের। তারা যেমন উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের উন্নয়ন চান, তেমন চান নিজেদের ভিত মজবুত করতে চাকরির নিশ্চয়তা।

দেশের মোট বেকার জনশক্তির ৮০ শতাংশ যুবক। এছাড়াও যুব জনশক্তির প্রায় ৩০ শতাংশই কর্মে বা শিক্ষায় নিয়োজিত নেই।

ফলে তরুণ ভোটারদের কাছে এবারের নির্বাচনে যুবকদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচনের আগের দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণী, নতুন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এমনটি।

তরুণ ভোটাররা অনেক চিন্তা-ভাবনা করেই হাজির হবেন ভোটকেন্দ্রে। কারো পক্ষপাত বা কোনো ব্যক্তি বিশেষের প্রতি অনুপ্রাণিত না হয়ে নিজ চিন্তার প্রতিফলন ঘটাবেন নির্বাচনী ব্যালটে।  

এবার দেশে মোট ভোটারের এক-তৃতীয়াংশই তরুণ। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ এবারই প্রথম ভোট দেবেন। বিশাল সংখ্যক এই ভোটার নির্বাচনের ফলাফল সহজেই পাল্টে দিতে পারে। এই পরিসংখ্যান মাথায় রেখে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর লক্ষ্য তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করা।  

রাজধানীর নতুন ভোটার ফায়েদ মাহমুদ সার্থক বলেন, ভোট দেওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো থাকলে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাবো। যিনি এলাকা মাদকমুক্ত রাখবেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারবেন, দেশের উন্নয়ন করবেন, তাকেই ভোট দেবো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থী মিসবাহ খন্দকার বলেন, পড়ালেখা শেষ হবে শিগগিরই। এরপর পরিবারের উপর নির্ভর হয়ে বেকার বসে থাকাটা খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার। অনেক বড় ভাইকে দেখছি পড়ালেখা শেষ করে বসে আছেন। তারা চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এটা আমি চাই না। তাই যারা ক্ষমতায় আসবেন, তাদের কাছে এক নম্বর দাবি থাকবে কর্মসংস্থানের পরিধি বাড়ানোর।  

জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত ইসলাম বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে তরুণরা এখন অনেক অ্যাডভান্স চিন্তা করে। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা বক্তৃতায় অনেক সুন্দর কথা বলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করেন না। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তি আইন বাক স্বাধীনতার পরিপন্থি। এটি যুব সমাজের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে, কেননা তরুণরাই সবার আগে কথা বলে। ফলে আইনটির যুগোপযোগী সংশোধন জরুরি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ডের শিক্ষার্থী শারমীন নোশিন তাবাসসুম বললেন, দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। অনেকেই এখন চাকরি বাদ দিয়ে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছেন। সেদিক থেকে প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার মতো শিক্ষা ব্যবস্থা যেমন নিশ্চিত করা উচিত, তেমনি নতুন ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে সহজ ব্যাংক ঋণ, প্রণোদনার ব্যবস্থাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করলে নতুন কর্মসংস্থানও বাড়বে।

চাকরির বয়সসীমা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শক্ত অবস্থান’ নিতে নতুন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জোহরা। তার দাবি, দুর্নীতিকারীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও দুর্নীতির সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন করা।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।