ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

২৩ জেলার ৭৩ উপজেলা দুর্গম

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
২৩ জেলার ৭৩ উপজেলা দুর্গম নির্বাচন ভবন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের ২৩টি জেলার ৭৩টি উপজেলাকে দুর্গম হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যোগাযোগে অসুবিধা ও ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্নতার বিবেচনায় ওই ৭৩ উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভোটার তালিকা প্রণয়নে তথ্য সংগ্রহ, নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত কাজে ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও কাজের গতি বাড়ানোর জন্যই মূলত এই তালিকা করেছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে নিজস্ব কর্মকর্তাদের পাশপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের তথ্যও নেওয়া হয়েছে।


 
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সহকারী সচিব মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে যে ৭৩টি উপজেলাকে দুর্গম বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো হলো-ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা, বরগুনার বেতাগী, পাথরঘাটা ও বামনা, বাগেরহাটের রামপাল, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, খুলনার বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, দাকোপ ও কয়রা, নোয়াখালীর হাতিয়া, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদীয়া, হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমেরীগঞ্জ ও লাখাই, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, ধর্মপাশা, শাল্লা, জামালগঞ্জ, দিরাই, বিশ্বম্ভপুর ও তাহেরপুর, কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠাইন ও অষ্টগ্রাম, বরিশালের হিজলা, মূলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা।
 
এছাড়া দুর্গম এলাকার তালিকায় রয়েছে নেত্রকোণার কলমাকান্দা, দূর্গাপুর ও খালিয়াজুরী, পটুয়াখালীর গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও দশমিনা, সাতক্ষীরার আশশুনী ও শ্যামনগর, পিরোজপুরের কাউখালী, কুমিল্লার মেঘনা, কুড়িগ্রামের রৌমারি ও রাজিবপুর, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, মাদারীপুরের শিবচর, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, লক্ষ্মীছড়ি, খাগড়াছড়ি সদর ও দিঘীনালা, বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান সদর, রুমা ও লামা, রাঙামাটির নানিয়ার চর, বরকল, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি সদর, রাজস্থলী, লংগদু, কাউখালী, কাপ্তাই, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলা।
 
বিভিন্ন নির্বাচনে এসব এলাকায় পরিবহন ব্যয়সহ সামগ্রিক ব্যয় বাড়ে। তাই ব্যয় ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে দুর্গম এলাকার এ তালিকা করেছে ইসি।
 
ইসির বাজেট শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনে এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় আমরা উপজেলা ভিত্তিক যে বাজেট করে থাকি, তা দিয়ে দুর্গম এলাকায় ব্যবস্থাপনা করতে অসুবিধা হয়। কেন না, সেসব এলাকায় ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। তাই দুর্গম এলাকা চিহ্নিত হলে আমাদের সব কাজ করতে সুবিধা হয়।
 
সাধারণ কোনো এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ করতে যতো সময় ও অর্থের প্রয়োজন, দুর্গম এলাকায় একই সময় ও অর্থে তা সম্ভব নয়। সেখানকার যোগাযোগ ও আপ্যায়ন ব্যয় বেশি। এছাড়া নির্বাচনের জন্য উপকরণ পরিবহন ব্যয়ও অনেক বেশি।
 
এনামুলক হক বলেন, দুর্গম এলাকার তালিকা হওয়ায় বাজেট প্রণয়নে সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে কাজ তুলে আনাও সহজ হয়েছে।
 
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণ যে কোনো এলাকার চেয়ে দুর্গম এলাকায় প্রায় দেড় গুণ বেশি ব্যয় হয়। চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতেও এ হারেই ব্যয় করা হচ্ছে। আগে ৫৪টি উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
ইইউডি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।