ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গোপীবাগের সংঘর্ষে প্রার্থী জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
গোপীবাগের সংঘর্ষে প্রার্থী জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: সিইসি

ঢাকা: গোপীবাগের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো প্রার্থী জড়িত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

গোপীবাগের সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই পক্ষের প্রতিনিধি দল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাত করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে। দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) গোপীবাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের প্রচার চালানো অবস্থায় দু পক্ষের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ কমন, এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে। বিএনপি বলেছে তাদের প্রার্থীদের পুলিশ হয়রানি করছে। তবে সে রকম হয়রানির মতো কোনো আলামত আমরা দেখিনি।

‘গোপীবাগের ঘটনার কথা বলেছে তাদের (বিএনপি) মামলা নেয়নি। পরে আমি ওসির সঙ্গে কথা বললাম সেখানে বসেই। ওসি বললেন, তারা আমাদের কাছে আসেনি, মামলা দেয়নি। আওয়ামী লীগ মামলা করেছে সেটাও তারা বলেছে। ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে তো যে কোনো ব্যক্তি মামলা করতেই পারে। সেটা আইনগত বিষয়।

সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগ গতকালের ঘটনার জন্য বিএনপিকে দোষ দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, এ সুযোগে বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসী দল ঢাকায় ঢুকে পড়বে এবং নির্বাচনের সময় নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে, আমরা যেন ব্যবস্থা নেই। আমরা বলেছি নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা বলতে হবে। আর যদি কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স থাকে সে অনুসারে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আইনগত সহযোগিতা করার জন্য।

একই ঘটনায় দুই দল অভিযোগ দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে কী মনে হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্রিমিনাল অফেন্স বিষয়ে তো আমরা কিছু বলতে পারি না। তবে স্থানীয়ভাবে তো আমরা তদন্ত করতে পারি, সেটি করতে একটু সময় লাগে। রিটার্নিং অফিসার, ওসি ও ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ করেছি প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত আসেনি।

সিইসি বলেন, আসলে কোনো প্রার্থী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্য কেউ জড়িত থাকলে ক্রিমিনাল অফেন্স অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অস্থায়ী ক্যাম্প সম্পর্কে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওটা আমরা উঠিয়ে দেবো। আর ১০০টা ক্যাম্প যে আছে এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। কোথাও থাকতে পারে। সে বিষয়ে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলেছি, রাস্তার উপর কোনো ক্যাম্প থাকলে সেটা তুলে দিতে।

১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
ইইউডি/এমইউএম/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।