ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পোস্টার-মাইকহীন প্রচার নিয়ে সিদ্ধান্ত ২৩ ফেব্রুয়ারি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
পোস্টার-মাইকহীন প্রচার নিয়ে সিদ্ধান্ত ২৩ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা: পোস্টার ও মাইকিংহীন প্রচার ব্যবস্থার উদ্যোগ আসন্ন ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিকল্প প্রচার ব্যবস্থায় যাবে সংস্থাটি। এজন্য প্রার্থীদের নিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি (রোববার) বৈঠকে বসছে কমিশন।

ঢাকা-১০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাহাতাব উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পোস্টার, মাইকহীন প্রচার ব্যবস্থার প্রচলন নিয়ে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৬০তম কমিশন বৈঠকে কেবল ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে বিষয়টি পরীক্ষামূলকভাবে প্রচলনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

এতে সফল হলে পরিবেশ দূষণ, শব্দ দূষণের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে পোস্টার ও মাইকিংহীন নির্বাচনী প্রচারের আইন কবরে ইসি

এ নিয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি এ মুহূর্তে পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বিধায় ঢাকা-১০ আসনের উপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা যারা প্রার্থী থাকবেন, তাদের সঙ্গে বৈঠক করব। সেই আলোচনা সভায় যদি সব প্রার্থী রাজি থাকেন, তাহলে ভ্রাম্যমাণ যে মাইক ব্যবহার করা হয় এবং পোস্টার যে রাস্তা ঘাটে টানানো হয়, এতে যে পরিবেশের ক্ষতি হয়, এটা না করে অন্য কোনো উপায়ে নির্বাচনের প্রচার চালানো যায় কি-না বিধিমালার মধ্যে থেকে সেটা উনাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা পাইলট সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইচ্ছা আছে নির্বাচন কমিশনের।

তিনি বলেন, সব প্রার্থীর সঙ্গে আলোচনা করে মাইক ব্যবহার না করে এবং রাস্তা-ঘাটে পোস্টার না দিয়ে, অন্য কোনোভাবে প্রচার চালানো যায় কি-না, তা সবার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে যদি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তাহলে কমিশন করবে। শুধু ঢাকার ১০ আসনেই এটা হবে। বাকিগুলোতে আগের মতোই হবে।

পোস্টার, মাইকিংয়ের বাইরে ইসি কিছু বিকল্প আইডিয়া দেবে। আবার প্রার্থীদের কোনো আইডিয়া থাকলে, তাও নেওয়া হবে। কমিশন প্রার্থী একমত হলে সমঝোতার ভিত্তিতে বিকল্প প্রচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইসি সচি বলেন, বিকল্প হিসেবে পথসভা করা যেতে পারে। জনসভার অনুমতি আছে। ডিজিটাল প্রচারণার বিষয় থাকতে পারে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার হতে পারে।

আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
ইইউডি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।