ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

চসিক নির্বাচন: দায়িত্বে অনিয়ম করলে ৫ বছর পর্যন্ত জেল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
চসিক নির্বাচন: দায়িত্বে অনিয়ম করলে ৫ বছর পর্যন্ত জেল

ঢাকা: আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্ত‍া-কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে পাঁচ বছরের জেল। তাই যেকোনো প্রকার অনিয়ম থেকে দূরে থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ভোটের দায়িত্বরতদের কেউ যদি কোনো ব্যক্তিকে কারও পক্ষে ভোটদানে প্ররোচিত করেন, কোনো ব্যক্তিকে ভোটদান থেকে নিবৃত করেন, কোনো ব্যক্তির ভোটাদানকে কোনোভাবে প্রভাবিত করেন এবং নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য পরিকল্পিত উপায়ে অন্য কোনো কাজ করেন; তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ন্যূনতম ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

একইসঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি ইচ্ছা করে বা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কোনো সরকারি দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলেও একই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আবার নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার জন্য পরিকল্পিত উপায়ে সরকারি পদমর্যাদার অপব্যবহার করলেও রয়েছে ন্যূনতম ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ পাঁচবছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত বলতে, রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা অথবা নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্যকে বোঝানো হয়েছে।

নির্দেশনাটির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সিনিয়র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বিজিবি-র‌্যাব-কোস্টগার্ড-আনসার ও ভিডিপির পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিট্রন পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।

ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের ওপর ইসির নজরদারি থাকবে। নির্বাচন তদন্ত কমিটি রয়েছে। থাকবে ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক দলও।

আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনটির পুরো ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, এ নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম। এছাড়াও কাউন্সিলর পদে দুই শতাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি। এ হিসেবে এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
ইইউডি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।