ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম: ফিজিবিলিটি স্টাডি নয়, টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ নিল ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
ইভিএম: ফিজিবিলিটি স্টাডি নয়, টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ নিল ইসি

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রকল্প প্রস্তাবের ফিজিবিলিটি স্টাডির বদলে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী রোববার (১৩ নভেম্বর) প্রকল্প প্রস্তাবটি ফের পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাবে সংস্থাটি।

গত অক্টোবরে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাড়ানো ও টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে গত ৮ নভেম্বর সেই প্রস্তাবটি ইসিতে ফেরত পাঠায় পরিকল্পনা কমিশন।  

নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে যন্ত্রে ভোটগ্রহণের জন্য দুই লাখ ইভিএম কিনতে চায় প্রকল্পটি থেকে, যেখানে ইভিএম প্রতি দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। এছাড়া ৫৩৪টি গাড়ি, ১০টি গুদাম তৈরি, এক হাজারের মতো লোকবল ইত্যাদি খাতে ওই ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ ধরেছে ইসি।  

পরিকল্পনা কমিশন কিছু ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোসহ ফিজিবিলিটি স্টাডির কথা বলেছে পর্যবেক্ষণে। তবে ইসি বলছে, যেহেতু তারা আগে থেকেই ইভিএম ব্যবহার করছে, তাই একই যন্ত্রের ওপর ফিজিবিলিটি স্টাডির প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ নিয়েই প্রস্তাবটি ফের পাঠানো হচ্ছে।   

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা এসে সুপারিশসূচক স্বাক্ষরও করে গেছেন প্রকল্প প্রস্তাবে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ইভিএম সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির সদস্য ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বৈঠকের বিষয়ে বলেন, জরুরি কিছু নয়। আগে স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। আজ স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।  

ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল রাকিবুল হাসান বলেন, পরিকল্পনা কমিশন বেতন-ভাতা, পরিবহন ব্যয়, মেইনটেনেন্স সার্ভিস কতখানি যথার্থ সেগুলো দেখতে বলেছে। প্রকল্প ব্যয় সেটা কিছু কমতে পারে। খুব একটা বেশি না।  

তিনি বলেন, ফিজিবিলিটি স্টাডিকে তো আর রিপ্লেস করা যায় না। যেহেতু প্রকল্পের সামনে সময় কম আছে। তাই বর্তমান ইভিএমকেই আমরা রেপ্লিকেট করছি। সেজন্য টেকনিক্যাল কমিটির মতামত জরুরি।  

তিনি আরও বলেন, প্ল্যানিং কমিশন আমাদের কিছু অবজারবেশনের জায়গা দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টটা সাপোর্টেট কিনা। আমরা যে টেকনিক্যাল স্পেসিফেকশন দিয়েছি সেটা। সেই কাজটা আজকে করলাম। এখন গ্রিনবুকে এন্ট্রি হয়েছে। অর্থাৎ প্রকল্পটি এডিবিভুক্ত হয়ে গেছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে যাবে। তারা আবার যাচাই-বাছাই করে দেখবে।  

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ বিষয়ে বলেন, টেকনিক্যাল কমিটি মোটা দাগে যে সুপারিশ দিয়েছে সেগুলো হলো আগামী নির্বাচন করতে গেলে বেশ কিছু ইভিএম লাগবে। বর্তমানে যে ইভিএম আছে তা দিয়ে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যে দেড়শ আসনের ক্ষেত্রে আমাদের আরও ইভিএম কিনতে হবে। আগামী রোববার টেকনিক্যাল কমিটির সবার স্বাক্ষরযুক্ত পর্যবেক্ষণ পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২২
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।