ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের আম্বালা জেলায় বেড়ে ওঠা পরিণীতি চোপড়ার। সম্প্রতি বলিউডের এই অভিনেত্রী জানান, তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তার বাবা-মা আর্থিকভাবে বেশ কঠিন সময় পার করেছিলেন।
পরিণীতি বলেন, এমন সময় ছিল যখন তার বাবার জন্মদিনের কেক কেনার জন্য পর্যাপ্ত টাকা ছিল না, তাই তিনি রসগোল্লা বা রসমালাই কিনে দিতেন এবং তিনি তার পরিবারের সঙ্গে জন্মদিনের কেক হিসাবে রসগোল্লা কাটতেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, একই বছরগুলোতে, কেনিয়ায় বসবাসকারী তার মায়ের বাবা-মা অর্থাত্ তার দাদু-দিদা এতটাই ধনী ছিলেন যে তারা পরীণীতি এবং তার ভাইকে বিজনেস ক্লাসে নাইরোবিতে নিয়ে যেতেন।
সম্প্রতি এক আড্ডায় পরিণীতি বলেন, তার বাবা-মা তাকে সুন্দর মানসিকতা দিয়েছেন যাতে তিনি সব ধরণের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। নায়িকার কথায়, আমরা আসলে খুব কম জিনিস পেয়েই বড় হয়েছি।
এরপর তিনি উল্লেখ করেন, তিনি সেই বছরগুলোতে তার বাবা-মায়ের সংগ্রাম দেখেছেন এবং কীভাবে পরিবার জন্মদিনে এক টুকরো রসগোল্লা ভাগ করে খেতে পারত কারণ তারা জন্মদিনের কেক কিনতে পারতেন না।
পরিণীতি বলেন, আমি আমার বাবা-মায়ের সংগ্রাম দেখেছি যেখানে তাদের কাছে আমার জন্য জন্মদিনের কেকের জন্য টাকা ছিল না এবং আমার বাবা বাজারে গিয়ে এক টুকরো রসগোল্লা কিনতেন। এক কেজি নয়, এক টুকরো রসগোল্লা বা রসমালাই এবং আমরা সেই রসমালাইকে জন্মদিনের কেকের মতো কাটতাম।
২০২৪ সালে ‘অমর সিং চমকিলা’-তে শেষ দেখা গেছে পরিণীতিকে। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ সাড়া ফেলেছিলেন পরিণীতি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৫
এনএটি