ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ সফর ১৪৪৭

বিনোদন

একই দিনে দেশে মুক্তি পাবে ভয়ঙ্কর দুই ভূতের সিনেমা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১৭, আগস্ট ৭, ২০২৫
একই দিনে দেশে মুক্তি পাবে ভয়ঙ্কর দুই ভূতের সিনেমা

সাম্প্রতিক সময়ে সারাবিশ্বেই হরর সিনেমা নির্মাণের হার বেড়েছে। এই পথে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও দুটি সিনেমা।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মার্কিন হরর থ্রিলার ‘ওয়েপনস’। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে সিনেমাটি। সেইসঙ্গে বাড়তি উপহার হিসেবে থাকছেও জনপ্রিয় তুর্কি হরর সিনেমা ‘সিকিন’ সিরিজের ‘সিকিন ৮’। এই সিনেমাটিও ৮ আগস্ট মুক্তি দিচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স।

‘ওয়েপনস’
জ্যাক ক্রেগার পরিচালিত আমেরিকান রহস্যময় হরর থ্রিলার সিনেমা ‘ওয়েপনস’। এতে অভিনয় করেছেন যশ ব্রুলিন, জুলিয়া গার্নার, ক্যারি ক্রিস্টোফার, অস্টিন আব্রামস, অ্যামি ম্যাডিগানসহ আরও অনেকে।

মেব্রুক নামের একটি ছোট শহরে, একই ক্লাসের ১৭ জন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র এক রাতে ২টা ১৭ মিনিটের সময়ে একযোগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। শুধুমাত্র একজন, অ্যালেক্স লিলি পরের দিন স্কুলে উপস্থিত হয়। নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীদের খোঁজে নামে অভিভাবক, পুলিশ, শিক্ষকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এরমধ্যে কিছু অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা তাদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয়।  

সিনেমাটি ছয়টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত। প্রতিটি অধ্যায়ভিত্তিক চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে গল্প এগিয়ে যায়। প্রতিটি অধ্যায় একটি ছোট ঘটনার কিস্তিকে আলোচনায় নিয়ে আসে এবং চূড়ান্ত ক্লাইমেক্সের দিকে এগোতে গিয়ে ধ্বংসাত্মক ঘটনা উন্মোচিত করে।

ওয়েপনস সবার কাছে ২০২৫ সালের অন্যতম সেরা হরর-থ্রিলার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আইএমডিবি, রোটেন টমেটোস ইতোমধ্যেই সিনেমাটির ইতিবাচক সমালোচনা করেছে।

‘সিকিন ৮’
তুর্কি ভাষার সুপারন্যাচারাল হরর সিনেমা ‘সিকিন ৮’। সিরিজের অষ্টম কিস্তি এটি। এই সিরিজের পূর্ববর্তী কিস্তি ‘সিকিন ৭’ গত বছরের ১৪ জুন মুক্তি পেয়েছে। এক বছর পর পর্দায় এসেছে নতুন কিস্তি। অ্যালপার মেস্তকি পরিচালিত সিনেমাটি তুরস্কে মুক্তির পর দর্শকদের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে।

এতে একজন পুরুষ এবং তার পরিবারকে ভয়াবহ অতিপ্রাকৃত শক্তির দ্বারা অত্যাচারিত হতে দেখা যাবে, যা শুরু হয় যখন সে তার বৃদ্ধ মাতাকে বাসায় আনে। এই অংশে অরহান চরিত্রটিকে সিরিজের মূল নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যিনি পূর্বের কিস্তিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে প্রথম দুই কিস্তিতে কোনো নির্দিষ্ট হিরো বা ভিলেন ছিল না বরং জাদুবিদ্যা ও কালো যন্ত্রণা প্রধান বিষয় ছিল, যা পরের কিস্তিতে বদলেছে বলে মনে হচ্ছে।

সিনেমাতে জিন তত্ত্ব, ব্ল্যাক ম্যাজিক এবং পারিবারিক গোপন রহস্যের মিশ্রণ রয়েছে। প্রধান চরিত্র ফাতিহ নামে একজন মানুষ, যিনি তার স্ত্রী বরনার অনুরোধে তার বৃদ্ধ মা গুনহুলকে পরিবারের বাইরে বৃদ্ধাশ্রমে স্থানান্তর করেন। মা বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর, ঘরের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং ধীরে ধীরে অচেনা ও রহস্যময় ঘটনা বাড়তে থাকে। একটি শান্ত পরিবেশে অদ্ভুত শব্দ, ছায়া এবং অতিপ্রাকৃত ঘটনা ফাতিহের পরিবারকে গ্রাস করে। ফাতিহের অনুশোচনায় ভরা মন একটি মানসিক ও পারিবারিক সংকটের মধ্যে পড়ে। ফাতিহ শেষ পর্যন্ত তার মাকে বাড়িতে ফেরায়, কিন্তু সেই মা একই ব্যক্তি নন। এরপর ঘটতে থাকে ভয়ঙ্কর সব ঘটনা। এভাবেই এগিয়ে যাবে সিনেমাটি।  

এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।