বিদেশে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দলে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। সোমবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন তারা।
নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১২ সালে শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে দুবাই গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কোনো দলনেতা ছিলেন না। দুবাইয়ের সাউন্ড সিস্টেম ভালো না থাকায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। আমার মতে, সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই দেশের বাইরে যাওয়া উচিত। ’
আলোচনায় শিল্পী সুবীর নন্দী বলেন, ‘অনুষ্ঠানে লাইট ও সাউন্ড অনেক বেশি জরুরি হয়ে ওঠে। দেশের বাইরের অনুষ্ঠানে আমাদের দেশের অভিজ্ঞ লাইট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে যাওয়া উচিত। নতুবা দেশের বাইরে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক ভালো লাইট ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার আছেন। তাঁদের দলে অন্তর্ভুক্ত করলে ভালো হবে। ’
মুনমুন আহমেদ বলেন, ‘বাইরে গেলে আমাদের উচিত ভালোভাবে মহড়া করে মঞ্চে ওঠা। ’
তামান্না রহমান বলেন, ‘১৯৮১ সালে প্রথম যখন বিদেশে গিয়েছিলাম, তখন একজন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে থাকে না। ২০১৩ সালে যখন গেলাম, তখন আমরা অনেক কিছুই পাইনি। নিজের দেশকে তুলে ধরার জন্য একজন উপস্থাপক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ’
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আমরা অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় খুব তাড়াতাড়ি আমাদের দেশে একটি অপেরা হাউস হবে। আমরা সংস্কৃতিতে আরও সমৃদ্ধ হবো। ভবিষ্যতে আমাদের আরও অনেক টিম বিদেশে যাবে এবং বিদেশিরাও আমাদের দেশে আসবেন। এভাবে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করবো। ’
মত বিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শাহীন সামাদ, সফি মণ্ডল, সমির বাউল, আবু বকর সিদ্দিক, রুমানা ইসলাম খান, দিনাত জাহান, মৌটুসী ইসলাম, মহিউজ্জামান চৌধুরী, শারমীন সাথী ইসলাম, কবিরুল ইসলাম, শামীম আরা নীপা, তামান্না রহমান, বেলায়েত হোসেন, ওয়ার্দা রিহাব, সামিনা হোসেন, ইউসুফ খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৬
এসও