শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা শেখানোর জন্য খোলা হয়েছে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রমিত বাংলা ভাষায় কথা বলা শিখতে আসেন এখানে।
একজন ভাষা সৈনিকের নাতনী (তানিয়া আহমেদ) এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এক হওয়ার পর এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি হয়ে ওঠে হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখের মিলনমেলা। এরই মধ্য দিয়ে চলতে থাকে প্রশিক্ষণ, তৈরি হয় নতুন নতুন গল্প।
লিটু সাখাওয়াতের রচনা ও রহমতউল্লাহ তুহিনের পরিচালনায় এমন কাহিনি নিয়ে তৈরী হয়েছে হাষ্যরসাত্মক ধারাবাহিক নাটক ‘কক্ষ নম্বর ৫২’।
নাটক প্রসঙ্গে পরিচালক বাংলানিউজকে বললেন, ‘৫২ সংখ্যাটির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে আমাদের বাংলাভাষার ইতিহাস। এই নাটকের প্রশিক্ষণকেন্দ্রটিতে ৪৭, ৭১’সহ এমন নম্বরের কিছু কক্ষ আছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৫২ নম্বর কক্ষটিতেই বাংলা ভাষার সঠিক উচ্চারণ শেখানো হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রথম লটের শুটিংও করেছি ৫২ পর্বের। ’
ঢাকা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, সিলেট ও চাকমা- মোট আটটি অঞ্চলের ভাষাভাষি শিক্ষার্থীদের দেখা যাবে নাটকে। বাস্তবিক অর্থেই তারা নিজ নিজ আঞ্চলিকতায় অভিনয় করেছেন। আটটি আঞ্চলিক ভাষায় আটজন অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন। তারা হলেন- ফারুক আহমেদ, স্বাধীন খসরু, শাহাদাত হোসেন, শাহানা সুমি, রাশেদ মামুন অপু, নাবিলা ইসলাম, সায়কা আহমেদ ও তানভীর রিজভী। এছাড়া নাটকটিতে ডা. এজাজুল ইসলাম একজন দারোয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
তুহিন আরও বললেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পাওয়া বাংলা ভাষার মর্যাদা আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। খাইতেছি, যাইতাছি, আইতাছি ধরনের বিকৃত ভাষা বর্তমান প্রজন্মের ওপর বেশি ভর করেছে। এই নাটকের মাধ্যমে বাংলা ভাষার যথাযথ উপস্থাপনের বার্তাটিই নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। ’
সম্প্রতি ‘কক্ষ নম্বর ৫২’র প্রথম লটের দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হলো। রাজধানীর উত্তরায় অধিকাংশ দৃশ্য ধারণ হয়েছে। শিগগিরই ধারাবাহিকটি একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচার শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৬
জেএমএস/এসও